মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ফুল বিক্রেতা আশিস নাগোসে। গত দু’মাস ধরে বেসরকারি ডিজিটাল সম্পদ (ক্রিপ্টোকারেন্সি) লেনদেনের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। আগে শেয়ারের ফিউচার এবং অপশন ডেরিভেটিভে লেনদেন করতেন। কিন্তু বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি বিধিতে কড়াকড়ি আনার পরে পথ বদল করে ক্রিপ্টো সম্পদ কেনাবেচা শুরু করেছেন আশিস। ২৮ বছরের যুবকের কথায়, ‘‘ব্যবসায় ভাটার টান আসে। ঘাটতি পোষাতেই ক্রিপ্টো লেনদেন।’’
ক্রিপ্টো প্ল্যাটফর্ম কয়েনসুইচের বক্তব্য, এটি আশিসের একার গল্প নয়। শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ডের পাশাপাশি, ছোট শহর এখন পা রাখছে ক্রিপ্টোর জগতেও। তালিকায় রয়েছে নাগপুর, জয়পুর, লখনউ, পুণের মতো শহর। এই ক্ষেত্রের পরিসংখ্যান গবেষণা সংস্থা কয়েনগেকো-র দাবি, অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে ভারতের চারটি বৃহত্তম ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জে ১৯০ কোটি ডলারের (প্রায় ১৬,৫০০ কোটি টাকা) লেনদেন হয়েছে। যা এক বছরে আগের প্রায় দ্বিগুণ। একাংশের ব্যাখ্যা, কাজের চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগোতে পারছে না নতুন কর্মসংস্থান তৈরি কিংবা রোজগার বৃদ্ধি। যা যুব সম্প্রদায়ের ক্রিপ্টোয় আকর্ষণের অন্যতম কারণ।
ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্চ মুদ্রেক্সের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এদুল পটেল জানাচ্ছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে ক্রিপ্টোর নিয়ন্ত্রণ বিধি শিথিল করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। যার সুবিধা পাচ্ছে ক্রিপ্টোর আন্তর্জাতিক বাজার। ভারতও এর বাইরে নয়। এ দেশে চড়া কর চাপানো হলেও নিয়ন্ত্রণ বিধি তৈরি হয়নি। সেবি আগ্রহী হলেও সাড়া দেয়নি সরকার। ফলে লাগামছাড়া গতিতে বাড়ছে ক্রিপ্টোর বাজার।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)