Advertisement
E-Paper

রাজ্য জুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, নাকাল মানুষ

গত দু’দিনে গরম ফের বাড়তেই বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাজেহাল রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার গ্রাহকেরা। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবারও বহু জায়গায় দীর্ঘক্ষণ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে।

An image of Powercut

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:৩২
Share
Save

মাসকয়েক আগে প্রখর গরমে বিদ্যুতের নজিরবিহীন চাহিদার জোগান দিয়ে ‘সাফল্য’ দাবি করেছিল রাজ্য। কিন্তু গত দু’দিনে গরম ফের বাড়তেই বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাজেহাল রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার গ্রাহকেরা। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবারও বহু জায়গায় দীর্ঘক্ষণ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। সূত্রের খবর, কয়লার জোগানে সমস্যার পাশাপাশি বণ্টন সংস্থার থেকে প্রাপ্য বকেয়া পুরো না মেলায় রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের উৎপাদনে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। আর আর্থিক সঙ্কটে বাজার (এক্সচেঞ্জ) থেকে বেশি বিদ্যুৎ কিনতে পারেনি বণ্টন সংস্থাও। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সঠিক ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অভাব ক্রমশ প্রকট হচ্ছে।

শুক্রবার জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘প্রতি বছরের মতো প্রাক্‌-পুজো প্রস্তুতি চলছে। বিদ্যুতের তার, ট্রান্সফর্মার বদলাচ্ছে। এখন একটু সমস্যা হবে।’’ সূত্রের খবর, বিদ্যুৎ উৎপাদনে নিজস্ব কয়লার জোগানের পাশাপাশি নিগমের ভরসা কোল ইন্ডিয়াও।তবে কয়লা কিনে দ্রুত তাদের দাম মেটাতে হয়। অথচ নিগমের থেকে বিদ্যুৎ কিনে ঠিক মতো টাকা মেটাচ্ছে না বণ্টন সংস্থা। ফলে এর মধ্যে এক সময়ে ঘাটতি প্রায় ১০০০ মেগাওয়াটের কাছে পৌঁছয়। তবে ঘাটতি বা কয়লার জোগানের সমস্যা মানতে নারাজ নিগম। দাবি, প্রাক্-পুজো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সাগরদিঘি ও বক্রেশ্বরের দু’টি কেন্দ্র (৫১০ মেগাওয়াট) বন্ধ। সোমবার ফের চালু হবে।

বণ্টন সংস্থার সূত্র বলছে, দীর্ঘ দিন মাসুল না বাড়া, গ্রাহকের বকেয়া আদায় বন্ধ থাকা, ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে বকেয়ার একাংশ মকুব আর্থিক বোঝা বাড়িয়েছে। গড় মাসুল বাবদ আয় ইউনিটে ৭.১২ টাকা। বাজার থেকে ১২ টাকা দরে কিছু বিদ্যুৎ কিনলেও এ দিন এক সময় দর প্রায় ২০ টাকায় চড়ায় পুরো ঘাটতি মেটানোর মতো কেনা যায়নি। বিদ্যুৎ সচিব বা বণ্টন সংস্থার প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বর্ধমান-দুর্গাপুর, বীরভুম, শিলিগুড়ি, উত্তর-দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, মালদহ সর্বত্র দু’দিন ধরে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাজেহাল মানুষ। কংগ্রেসের বিধায়ক সওকত মোল্লা বলেন, “লো-ভোল্টেজ। বাড়ছে লোডশেডিং। বিভাগীয় মন্ত্রীকে বলেছি।” বৃহস্পতিবার রাতে বিক্ষোভ হয় খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে। শুক্রবারও সকালে ঘণ্টাখানেক লোডশেডিং ছিল ছিল গোঘাট-২ ব্লকের কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Powercut LOAD SHEDDING West Bengal Electricity Board

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}