দুবাই থেকে সোনা পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাও। তাঁর থেকে ১৪.৮ কেজি সোনা উদ্ধার করেছে রাজস্ব গোয়েন্দা দফতর (ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইনটেলিজ়েন্স বা ডিআরআই)। বাজেয়াপ্ত হওয়া হলুদ ধাতুর বাজারমূল্য ১৭ কোটি ৩০ লক্ষের বেশি বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার পর স্বাভাবিক ভাবেই প্রকাশ্যে চলে এসেছে একটি প্রশ্ন। তা হল, বিদেশি বা ঘরোয়া বিমানে কত পরিমাণ সোনা নিয়ে উঠতে পারবেন যাত্রীরা?
হলুদ ধাতু সঙ্গে নিয়ে উড়োজাহাজে গন্তব্যে রওনা হওয়ার ক্ষেত্রে শুল্ক দফতরের সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। নেপাল, ভুটান বা মায়ানমার ছাড়া অন্য কোনও দেশ থেকে ভারতে এলে কিছু পরিমাণ সোনা বা রুপোর উপর দিতে হবে না কোনও শুল্ক। এ দেশের নাগরিক এবং বিদেশিদের ক্ষেত্রে এই নিয়মের কোনও ব্যতিক্রম নেই।
শুল্ক দফতরের নিয়মে সোনা বা রুপো বলতে শুধু অলঙ্কার বোঝানো হয়নি। পাকা সোনার বাটও এর অন্তর্ভুক্ত। ভারতীয় এবং বিদেশিদের ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত মূল্যবান ধাতু সঙ্গে নিয়ে বিমানে যাতায়াতের অনুমতি দিয়ে থাকে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। নেপাল, ভুটান এবং মায়ানমারের ক্ষেত্রে ১৫ হাজার টাকা মূল্যের মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন তাঁরা।
এ দেশের কোনও পুরুষ নাগরিক এক বছরের বেশি সময় ধরে বিদেশে থাকলে ঘরে ফেরার সময়ে ২০ গ্রাম পর্যন্ত শুল্কমুক্ত গয়না নিয়ে ফিরতে পারবেন। তবে ওই অলঙ্কারের বাজারমূল্য ৫০ হাজার টাকার বেশি হলে চলবে না। মহিলাদের ক্ষেত্রে ৪০ গ্রাম হলুদ ধাতুর গয়না নিয়ে দেশে ফেরার অনুমতি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট অলঙ্কারের বাজারমূল্য এক লক্ষ টাকার বেশি হলে দিতে হবে শুল্ক।
আরও পড়ুন:
তবে বিদেশ থেকে এর থেকে বেশি সোনা নিয়ে দেশে ফেরা যাবে না, তা নয়। সে ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী শুল্ক দিতে হবে তাঁকে। অন্যথায় পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হলে ঠাঁই হবে গারদে। ঠিক যেমনটা হয়েছে কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাওয়ের।