পেঁয়াজের দামের ঝাঁজে নাজেহাল আমজনতা। এই পরিস্থিতিতে দর কমার মিলল ইঙ্গিত। শনিবার, ২২ মার্চ, পেঁয়াজ রফতানির উপর ২০ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। ১ এপ্রিল থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর করবে নরেন্দ্র মোদী সরকার। রফতানি শুল্ক হ্রাস পাওয়ায় খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দর নামবে বলে মনে করেছেন সব্জিবিক্রেতারা।
পেঁয়াজের উপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যেই জারি করেছে ভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রক। সেখানে বলা হয়েছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে এই সব্জির রফতানির উপর শুল্ক আরোপ করা হয়। পরবর্তী ছ’মাসে ধীরে ধীরে সেটি প্রত্যাহারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রফতানি শুল্ক প্রত্যাহারের ফলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন পেঁয়াজ চাষিরা। বিদেশের বাজারে পণ্যটির দাম কমবে। ফলে সেখানে পেঁয়াজ বিক্রি করে বেশি টাকা লাভের মুখ দেখতে পাবেন তাঁরা। উল্লেখ্য, ভারতীয় পেঁয়াজের একটি বড় অংশই রফতানি হয় বাংলাদেশে। বিদেশের বাজারে বেশি লাভ করার কারণে ঘরোয়া বাজারেও কমবে পেঁয়াজের দাম, বলছেন বিশ্লেষকেরা।
বর্তমানে কলকাতার বাজারে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। এই দর ২৫ টাকায় নামতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। গত দু’বছর ধরে ঘরোয়া বাজারে পেঁয়াজের দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে সরকার। এর মধ্যে রয়েছে রফতানি শুল্ক আরোপ এবং ন্যূনতম রফতানি মূল্য নির্ধারণ।
আরও পড়ুন:
এ ছাড়া পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে পেঁয়াজের রফতানির উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল কেন্দ্র। ফলে ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে গত বছরের ৩ মে পর্যন্ত বিদেশের বাজারে পাঠানো হয়নি পেঁয়াজ। পরবর্তী সময়ে ফের শুরু হয় এই সব্জির রফতানি বাণিজ্য।
চলতি আর্থিক বছরে (পড়ুন ২০২৪-’২৫) মোট ১১.৬৫ লক্ষ টন রফতানি করে ভারত। গত অর্থবর্ষে (পড়ুন ২০২৩-’২৪) এর পরিমাণ ছিল ১৭.১৭ টন। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে মাসে পেঁয়াজ রফতানির অঙ্ক ০.৭২ টনে দাঁড়িয়েছিল। এ বছরের জানুয়ারিতে সেটাই বেড়ে ১.৮৫ টন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।