তেল রফতানিকারী দেশগুলি (ওপেক গোষ্ঠী)
শুল্ক ছাঁটাইয়ের পরে কিছুটা কমলেও ভারতে পেট্রল-ডিজ়েলের দাম এখনও উঁচুতে। তেলের সেই চড়া দরের জন্য ফের তেল রফতানিকারী দেশগুলির (ওপেক গোষ্ঠী) উপরেই দায় চাপালেন তেলমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি। বিশ্ব বাজারে চড়া তেলের দাম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তাঁর দাবি, তেল রফতানিকারী দেশগুলি কৃত্রিম ভাবে জোগানে রাশ টানায় দাম বাড়ছে তেলের। যদিও কেন্দ্র শুল্ক ছাঁটার পরে অশোধিত তেলের দর সেই সময়ের চেয়ে নামলেও তার সুবিধা মেলেনি।
সোমবার রাজ্যসভায় প্রশ্নের জবাবে দেশের মজুত ভাণ্ডার থেকে ৫০ লক্ষ ব্যারেল ছাড়ার কথা জানিয়ে তেলির দাবি, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও আমজনতার উপর বোঝা কমাতেই এই পদক্ষেপ। মজুত ভাণ্ডার ও তেল সংস্থাগুলির ভাণ্ডার মিলিয়ে এখন ৭৪ দিনের অশোধিত তেল মজুত রয়েছে।
জানুয়ারি থেকে দিনে চার লক্ষ ব্যারেল বেশি তেল জোগাবে ওপেক। তেলি এ দিন বলেন, ‘‘ভারত বারবার চাহিদার চেয়ে জোগান কৃত্রিম ভাবে কমিয়ে রাখা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এতে তেলের দাম বাড়ছে। অন্যান্য নেতিবাচক প্রভাবও পড়ছে।’’
সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের অবশ্য মতে, সাধারণত বিশ্ব বাজারে তেলের দরের প্রভাব দিন পনেরোর মধ্যে পড়ে দেশে। কেন্দ্রীয় শুল্ক এবং কিছু রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কর কমায় পেট্রল-ডিজ়েলের দাম যা কমেছিল, তা ছাড়া তেলের দাম দীর্ঘ দিন ধরেই স্থির। অথচ মাঝে অশোধিত তেলের দর নেমেছিল। এখনও তা ব্যারেলে ৭৫ ডলারের আশেপাশে। মোদী সরকার বারবার অশোধিত তেলের দাম নিয়ে সরব হলেও তা কমলে কেন দেশে তার সুবিধা মেলে না, সেই উত্তর কার্যত কখনওই মেলে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy