কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। —ফাইল চিত্র
কর্পোরেট কর কমাতে গিয়ে ১.৪৫ লক্ষ কোটি টাকার রাজস্ব লোকসান মেনে নিলেও, এখনই রাজকোষ ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা বদলাতে রাজি নন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তাঁর দাবি, সরকারি খরচও ছাঁটাই হবে না। বরং অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য খরচে গতি বাড়াতে ব্যয়সচিব খুব শীঘ্রই বিভিন্ন মন্ত্রকের সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন।
কিন্তু ৩.৩ শতাংশে রাজকোষ ঘাটতি বাঁধা থাকবে কোন পথে? মন্ত্রকের আশা, চলতি বছরেই এয়ার ইন্ডিয়া ও মন্ত্রিসভার অনুমোদন প্রাপ্ত ২৩টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে কেন্দ্রের আয় বাড়বে অনেকটা। তা দিয়ে রাজস্ব ক্ষতি পূরণ করা যাবে।
অর্থ মন্ত্রকের শর্ত, ১ অক্টোবরের পরে তৈরি সংস্থার জন্য নতুন ১৫% কর প্রযোজ্য হবে। উৎপাদন শুরু করতে হবে ২০২৩ সালের মধ্যে। নির্মলার দাবি, তার পরেও এই সংস্থাগুলির জন্য ওই করের হারই বহাল থাকবে।
তিনি বলেন, ‘‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আর কোনও দেশে ১৫% কর নেই। চিন থেকে ভারতে কারখানা সরিয়ে আনতে এই হার আকর্ষণীয়। ওই সব সংস্থাকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকায় ফিরতে ও সেখানে কারখানা তৈরি করতে বলছেন। কিন্তু সংস্থাগুলির জন্য তা লাভজনক হবে না। এত দিন যে চড়া করের যুক্তিতে ভারত খারিজ হয়ে যেত, তা-ও থাকছে না। অ্যাপলের মতো সংস্থা এলে তার প্রভাব পড়বে। তাদের যন্ত্রাংশ নির্মাতারাও আসতে চাইবে।’’
কর ছাঁটাইয়ের পর প্রশ্ন উঠেছে, এতে কি মানুষের হাতে খরচের বেশি টাকা আসবে? নির্মলার উত্তর, ‘‘কর কমার সুবিধা মানুষের হাতে পৌঁছবে কি না, তা সংস্থার পর্ষদ ঠিক করবে। আমি কী করে নির্দেশ দেব?’’ বাজারে ঋণের জোগান বাড়াতে এ বার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের পরে বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি। তবে মধ্যবিত্তের আয়কর ছাঁটাই হবে কি না প্রশ্নে তাঁর জবাব, সিদ্ধান্ত হয়নি।
প্রথম ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধি ৫ শতাংশে নেমেছে। কেন্দ্রের অন্দরেই আশঙ্কা, ঘাটতির লক্ষ্য ৩.৩% থেকে বেড়ে ৩.৫% হতে পারে। নির্মলা বলেন, ‘‘যখন বাজেটের সংশোধিত অনুমান তৈরি হবে, তখন পর্যালোচনা করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy