নির্মলা সীতারামন। —ফাইল চিত্র।
অতিমারি পার করে দেশের আর্থিক কর্মকাণ্ডের গতি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ঋণের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু আমানত সংগ্রহে তার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছে না বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি। ফলে ঋণ বণ্টনের পুঁজিতে টান পড়ছে। যা নিয়ে সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। এ বার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও একই সুরে বার্তা দিলেন। ব্যাঙ্কগুলিকে তাঁর পরামর্শ, আমানত বাড়াতে গেলে উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগিয়ে আকর্ষণীয় প্রকল্প নিয়ে আসতে হবে। ব্যাঙ্কগুলিকে জোর দিতে হবে তাদের মূল ব্যবসায়। অর্থাৎ, আমানত সংগ্রহ এবং ঋণ দেওয়া।
শনিবার রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের কেন্দ্রীয় পর্ষদের সঙ্গে বাজেট পরবর্তী বৈঠকে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য, আমানত এবং ঋণ গাড়ির দু’টি চাকার মতো। কিন্তু আমানত ধীরে এগোচ্ছে। তাঁর পরামর্শ, ‘‘সরকার এবং রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক দু’জনেই চাইছে ব্যাঙ্কগুলি তাদের মূল ব্যবসায় মনোনিবেশ করুক।’’
শেয়ার বাজার, ঋণপত্র এবং বাজার নির্ভর প্রকল্পের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে লগ্নিকারীদের মধ্যে। পরিস্থিতি এমন যে সাধারণ লগ্নিকারীদের একাংশ পারিবারিক সঞ্চয় থেকে পুঁজি ভাঙিয়ে সেখানে ঢালছেন। লগ্নি করছেন আগাম লেনদেনের মতো ঝুঁকিপূর্ণ প্রকল্পেও। এই ঘটনা সরকারের মাথাব্যথা তো বাড়িয়েছেই, বিরূপ প্রভাব ফেলেছে ব্যাঙ্কগুলির আমানতেও। ব্যাঙ্কিং বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, আমানতের ক্ষেত্রে যেটি সাধারণ মানুষকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করে তা হল প্রকল্পের সুদ। কিন্তু আমানতকারীদের অভিযোগ, বিগত দিনে ব্যাঙ্কগুলি যে গতিতে ঋণের সুদ বাড়িয়েছে সেই অনুযায়ী সঞ্চয়ের সুদ বাড়ায়নি। শক্তিকান্ত বলেন, ‘‘সুদ এখন নিয়ন্ত্রণমুক্ত। ব্যাঙ্কগুলি সুদের ব্যাপারে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy