পরিকাঠামো উন্নয়নে নজর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের। ছবি: পিটিআই
কঠিন সময় পেরিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে অর্থনীতি। বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকেই সেই ইতিবাচক বার্তা এসে পৌঁছচ্ছে। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তবে দেশের অর্থনীতির ভিত্তি এখনও যে নড়বড়ে তা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। আগামী বাজেটে দেশের পরিকাঠামো উন্নয়নই যে সরকারের পাখির চোখ সে কথাও জানিয়েছেন নির্মলা।
করোনা সংক্রমণ জোরাল ধাক্কা দিয়েছে দেশের অর্থনীতিতে। লকডাউনের জেরে দীর্ঘ সময় ধরে অচল ছিল অর্থনীতির চাকা। তার জেরে গত অগস্টেই শূন্যের নীচে নেমে যায় জিডিপির হার। সেই অন্ধকার কাটিয়ে আলোর রেখা দেখা যাচ্ছে বলে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন নির্মলা। তাঁর মতে, জিএসটি আদায় বৃদ্ধি আশার আলো জাগিয়েছে। প্রায় ৮ মাস ধরে চলা করোনা পর্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জিএসটি আদায় হয়েছে অক্টোবরেই যার পরিমাণ ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। এ ছাড়া নির্মলার দাবি, দু’চাকার গাড়ি এবং অন্যান্য গাড়ির বিক্রি, রফতানি, প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ, পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স (পিএমআই)-এর বৃদ্ধি ক্ষত সারিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার ইঙ্গিতই দিচ্ছে। উল্লেখ্য, গত কালই পিএমআই জানিয়েছে, গত এক দশকের মধ্যে দেশের কল কারখানায় রেকর্ড উৎপাদন বৃদ্ধি হয়েছে গত অক্টোবরে, ৫৮.৯ পয়েন্ট। গ্রামীণ অর্থনীতিতেও কিছুটা গতি এসেছে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
একই সঙ্গে সতর্কবার্তাও দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তাঁর মতে, অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের ঊর্ধ্বগতি আশার আলো দেখালেও পায়ের তলার মাটি এখনও ততটা শক্ত নয়। এখনও অনেকটা পথ যাওয়া বাকি বলেই মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাজ্যসভায় ৩৮-এ নেমে গেল কংগ্রেসের আসন, সংসদের ইতিহাসে প্রথম বার
আরও পড়ুন: এনডিএ-কেই ক্ষমতায় আনবেন বিহারের মানুষ, দাবি মোদীর
অর্থমন্ত্রীর মতে, রফতানি ক্ষেত্রে বৃদ্ধি অটুট রয়েছে। শিল্প ক্ষেত্রেও নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও নতুন দিশা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। নির্মলার দাবি, দক্ষ শ্রমিকরা নতুন এবং বেশি অর্থ হাতে পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। মাঝারি দক্ষ শ্রমিকদেরও আরও ভাল কাজ পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে অদক্ষ শ্রমিকদেরও নিজের নিজের এলাকায় কাজ পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। যদিও পিএমআই-এর সমীক্ষা জানাচ্ছে, এত দিন ধরে চুপসে থাকা অর্থনীতি দ্রুতগতিতে ফুলতে শুরু করলেও বহু সংস্থায় বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy