আনাজের দামের ওঠানামায় বছরভর সমস্যায় পড়েন সাধারণ ক্রেতা এবং কৃষক। বহু চাষি লোকসান করে আনাজ বেচতে বাধ্য হন। এই সমস্যা এড়াতে ধানের পাশাপাশি আলু, পেঁয়াজ, টোম্যাটো-সহ বিভিন্ন আনাজ তাঁদের থেকে সরাসরি কিনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য। সরকার নিয়ন্ত্রিত বিক্রয় কেন্দ্রগুলি থেকে তা বিক্রি হবে রাজ্য জুড়ে। তাই চাষিদের থেকে কিনতে যেমন নির্দিষ্ট ক্রয় মূল্য স্থির করা হচ্ছে, তেমনই মজুত কেন্দ্র বাড়াচ্ছে নবান্ন।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, কৃষি বিপণন দফতরের অধীনে রাজ্যে সংখ্যায় বেড়ে ৯০টি ‘রেগুলেটেড মার্কেট কমিটি’ (আরএমসি) আনাজ কিনবে। জেলা স্তরে আরএমসি-গুলি জেলাশাসকদের অধীনে। ঠিক হয়েছে, গোটা বছর ধরে প্রায় ৫০০০ টন আলু কৃষকদের থেকে কেনা হবে। বাঁকুড়া-পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলায় সাধারণত কুইন্টালে ৬০০-৭৫০ টাকা পান কৃষক। অন্য জেলায় ৭০০-৯০০ টাকা। রাজ্য কিনবে ১০০০ টাকায়।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে দিনে ৭০-৮০ কুইন্টাল রবি-সুখসাগর পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়। কুইন্টালে ২০০০ টাকার বদলে চাষিদের কাছে রাজ্যের প্রস্তাব ২২৫০ টাকা। পেঁয়াজের জন্য ১০ মার্চ চালু হচ্ছে আটটি নতুন হিমঘরও। প্রতিটিতে রাখা যাবে ৪০ টন। ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ছোট-মাঝারি কৃষকেরা পেঁয়াজ মজুতের জন্য তা ব্যবহার করতে পারবেন। এ ছাড়াও রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনায় আরও ৯১৭টি (ধারণ ক্ষমতা ৯ টন করে) মজুত কেন্দ্র চালু হবে এই মরসুমেই। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হলদিবাড়িতে উৎপাদিত প্রায় ২০০০ কেজি টোম্যাটো কুইন্টালে ৭০০-৮০০ টাকায় কিনছে রাজ্য। সাধারণত যা থাকে ৫০০-৬০০ টাকা।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)