ফাইল চিত্র।
সাধারণ লগ্নিকারীদের জন্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি ঋণপত্রে পুঁজি ঢালার পথ খুলে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা ফেব্রুয়ারিতেই ঘোষণা করেছিল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। আজ, শুক্রবার সেই প্রকল্পের উদ্বোধন করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রকল্পের পোশাকি নাম ‘রিটেল ডিরেক্ট’। পাশাপাশি, আর্থিক পরিষেবা সংক্রান্ত অভিযোগের সমাধানের জন্য একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থারও উদ্বোধন করবেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের মতো স্বশাসিত সংস্থার দু’টি প্রকল্পের পথ চলার শুরু প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে হচ্ছে কেন? এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য রথীন রায় টুইটারে লিখেছেন, ‘‘দৃশ্যত সরকারের থেকে দূরত্ব বজায় রাখাই রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ঐতিহ্য। তবে যখনই ব্যক্তিগত স্বাতন্ত্রবিহীন কোনও আমলা এর শীর্ষ-পদে এসেছেন তখনই এর ব্যতিক্রম ঘটেছে।’’ এই প্রসঙ্গে কয়েকটি উদাহরণও টেনেছেন তিনি। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, শীর্ষ ব্যাঙ্কের বর্তমান গভর্নর শক্তিকান্ত দাসই তাঁর লক্ষ্য।
এখন সরকারি ঋণপত্রে (গিল্ট) বড় মাপের লগ্নিকারীরাই শুধু অংশগ্রহণ করতে পারেন। কারণ, ন্যূনতম বিনিয়োগ করতেই লাগে কোটি টাকার বেশি। তবে এর পর থেকে ঋণপত্র নির্ভর অন্যান্য প্রকল্পের মতো অল্প পুঁজি নিয়েও তাতে লগ্নি করতে পারবেন সাধারণ লগ্নিকারীরা। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এর হাত ধরে এক দিকে যেমন বাড়তি অর্থ সংগ্রহের সুযোগ খুলবে সরকারের সামনে, তেমনই সাধারণ মানুষের জন্য তৈরি হবে তুলনায় সুরক্ষিত লগ্নির আর একটি পথ।
মূলধনী বাজার বিশেষজ্ঞ অজিত দে বলেন, ‘‘গিল্টে লগ্নি সুরক্ষিত। নতুন সরকারি ঋণপত্র কেনার পরে বাজারে তার দাম ওঠানামা করলেও মেয়াদ শেষে মূল দাম নিশ্চিত ভাবে ফেরত পাবেন লগ্নিকারী। সুদের হারও স্থায়ী। ফলে ঝুঁকি কম। ঋণপত্র কেনার পরে দাম বাড়লে সুদ ছাড়াও বাজারে তা বিক্রি করে অতিরিক্ত মুনাফার সুযোগ রয়েছে।’’ অজিতবাবুর মতে, গিল্টে লগ্নি অনেকটা হাতে নগদ রাখার মতো। যখন খুশি বিক্রি করে হাতে টাকা পেতে পারেন লগ্নিকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy