—প্রতীকী চিত্র।
বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও আর্থিক বৈষম্য বাড়ছে বলে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সমীক্ষায় জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে ‘হুরুন গ্লোবাল রিচ লিস্ট’-এ দেখা গেল, ধনকুবেরের তালিকায় বেজিংকে ছাপিয়ে পয়লা নম্বরে উঠে এসেছে মুম্বই। গত বছরের হিসাব অনুযায়ী, ভারতের বাণিজ্য রাজধানীতে এমন ৯২ জন বসবাস করেন, যাঁরা অন্তত ১০০ কোটি ডলারের (প্রায় ৮৩০০ কোটি টাকা) মালিক। চিনের রাজধানীতে সেই সংখ্যা ৯১। দেশ হিসেবে চিন (৮১৪) অবশ্য ভারতের (২৭১) থেকে এগিয়ে।
সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া ‘ইনকাম অ্যান্ড ওয়েলথ ইনইকুয়ালিটি ইন ইন্ডিয়া, ১৯২২-২০২৩: দ্য রাইজ় অব বিলিয়নিয়ার রাজ’ শীর্ষ গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, ২০০০ সালে ভারতের ধনীতম ১% মানুষের হাতে দেশের ২২.৬% সম্পদ ছিল। ২০২৩ সালে তা বেড়ে ৪০% হয়েছে। এরই মধ্যে প্রকাশিত হল হুরুনের তালিকা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ভারতের বৃহত্তম ধনপতি হিসেবে নিজের স্থান ধরে রেখেছেন রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ়ের চেয়ারম্যান মুকেশ অম্বানী। তিনি ১১,৫০০ কোটি ডলারের মালিক। গত এক বছরে তাঁর সম্পদ বেড়েছে ৪০%। গৌতম আদানি রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে। হিন্ডেনবার্গ কাণ্ডের পরে হারানো শেয়ারমূল্যের অনেকটাই গত এক বছরে উদ্ধার করতে পেরেছেন তিনি। সারা বিশ্বের বিত্তবানদের তালিকায় এখন তিনি পঞ্চদশ স্থানে। মুকেশের স্থান দশম। শীর্ষ স্থানে রয়েছেন ইলন মাস্ক (২৩,১০০ কোটি ডলার)।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, আর্থিক বৃদ্ধির হারে চিনকে ছাপিয়েছে ভারত। তার ফলে বিদেশি লগ্নিকারীদের কাছে এ দেশের আকর্ষণ বাড়ছে। লগ্নিও বাড়াচ্ছেন তাঁরা। তার প্রভাবেও দেশে শিল্পপতিদের শেয়ার সম্পদ বাড়ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy