Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
MSME

ছোট শিল্পের কাঁটা ঢিমে উন্নত দুনিয়া

ভারতীয় রফতানি ব্যবসার প্রায় ৪০% হয় ছোট-মাঝারি সংস্থাগুলির হাত ধরে। ৬৯টি ক্ষেত্রের ১৪৭টি শিল্পগুচ্ছ (ক্লাস্টার) নিয়ে যার বিশ্লেষণ করেছে ক্রিসিল, যাদের মোট আর্থিক ব্যবসার অঙ্ক ৬৩ লক্ষ কোটি টাকা।

MSME.

—প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২৩ ০৯:১৫
Share: Save:

প্রথমে দেশের আর্থিক ঝিমুনি, তার পরে জিএসটি, কোভিড এবং মূল্যবৃদ্ধি— একের পর এক ধাক্কা কোনওক্রমে সামলে উঠেছে দেশের ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্প (এমএসএমই)। কিন্তু উপদেষ্টা সংস্থা ক্রিসিলের রিপোর্ট বলছে, ঘুরে দাঁড়ানোর আগেই তাদের এগোনোর পথে নতুন দেওয়াল তুলছে আমেরিকা, ইউরোপ-সহ বিশ্বের উন্নত দুনিয়ায় আর্থিক সঙ্কট। তার জেরে রফতানি ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়ছে একাংশের। বিদেশের ওই সব বাজার ভারতের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পণ্য বিক্রির ঠিকানা। অথচ চাহিদার অভাবে সেখানে ব্যবসা শুকোচ্ছে। দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে মজুত বাড়ছে এমএসএমইগুলির। ফলে কার্ষকরী মূলধনে ঘাটতি আশঙ্কায় প্রমাদ গুনছে অনেকেই।

ভারতীয় রফতানি ব্যবসার প্রায় ৪০% হয় ছোট-মাঝারি সংস্থাগুলির হাত ধরে। ৬৯টি ক্ষেত্রের ১৪৭টি শিল্পগুচ্ছ (ক্লাস্টার) নিয়ে যার বিশ্লেষণ করেছে ক্রিসিল, যাদের মোট আর্থিক ব্যবসার অঙ্ক ৬৩ লক্ষ কোটি টাকা। সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০% এমএসএমই-র কার্যকরী মূলধনে টান পড়ার আশঙ্কা। যে মূলধন ছাড়া ব্যবসা চালানোই দায়। তার উপর ২০% সংস্থার ক্ষেত্রে এই মূলধনের চাহিদা যেহেতু অতিমারি হানার আগের সময়কেও ছাপিয়ে যেতে বসেছে। কারণ, মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব সব খরচই বেড়ে গিয়েছে। রং ও রঞ্জক, দামি পাথর, গয়না, নির্মাণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে যুক্ত বিভিন্ন ছোট সংস্থা ইতিমধ্যেই চড়া কার্যকরী মূলধনের চাহিদা যুঝে টিকে থাকার চেষ্টা করছে বলে দাবি রিপোর্টে।

ক্রিসিলের ডিরেক্টর পূষণ শর্মার বক্তব্য, যত দ্রুত কার্যকরী মূলধন নিয়ে তৈরি পণ্য বিক্রি করা সম্ভব হয়, ব্যবসা তত দক্ষ ভাবে এগোয়। সেই সময়কাল (ওয়ার্কিং ক্যাপিটল ডে) বেড়ে যাওয়া তাই ব্যবসার দিক থেকে কাম্য নয়। আমদাবাদ ও সুরাতের রফতানিকারী ছোট সংস্থাগুলির কার্যকরী মূলধন বিক্রিতে পরিণত হওয়ার সময়কাল প্রাক-করোনো পর্বকে ছাপানোর আশঙ্কা। যেমন, আমদাবাদে রং ও রঞ্জকে়, কীটনাশক, ওষুধ ব্যবসায় ওই টাকার চাহিদা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিক্রি পর্যন্ত ওই সময় ২০-২৫ দিন বেড়ে যেতে পারে। অর্থাৎ মূলধন জোগাড় করে তা দিয়ে পণ্য উৎপাদন করলেও, তা বিক্রি করতে বেশি সময় লাগলে সংস্থার সেই পাওনা পেতে দেরি হবে। সুরাতের হিরের ক্লাস্টারের ক্ষেত্রে সেই সময় বৃদ্ধির আশঙ্কা, ৩৫ দিন। একই ভাবে সেই সময়কাল বেড়েছে নির্মাণ ও সড়ক ক্ষেত্রেও।

অন্য বিষয়গুলি:

MSME industry Economy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy