প্রতীকী ছবি।
করোনার আবহে যোগাযোগের ভরসা মোবাইল। ঘর থেকে কাজের বহর বাড়ায় তার প্রয়োজন আরও বেড়েছে। সঙ্গে বেড়েছে গ্রাহকের বিরক্তিও। অফিসের কাজ হোক বা আত্মীয়-বন্ধুদের খবর নেওয়া, কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকাতেই পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ তুলছেন তাঁরা। বলছেন, একটা ফোন করতেই অনেক সময় গলদঘর্ম হতে হচ্ছে।
পড়াশোনা ও কাজের গোটা প্রক্রিয়াটাই যখন অনলাইন-নির্ভর হয়ে উঠেছে, তখন খারাপ নেট সংযোগ নিয়েও দানা বাঁধছে অসন্তোষ। উঠছে পরিষেবার গতি ২জি-তে নেমে যাওয়া বা ‘ব্রাউজ়িং’-এ চাকা ঘুরে যাওয়ার অভিযোগ। গ্রাহকদের প্রশ্ন, সংস্থাগুলি কেন এই সব সমস্যায় কান দিচ্ছে না?
টেলি সংস্থাগুলি অবশ্য অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের দাবি, মে মাসে আমপানের সময় কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় সমস্যা হয়েছিল ঠিকই। এখন অবস্থা তেমন নয়। অভিযোগ বাড়েনি।
কোনও গ্রাহকের নালিশ, হাজার বার ফোন করেও সংযোগ মিলছে না। ফোনে ভেসে আসছে, যাঁকে ফোন করা হচ্ছে তিনি নাকি পরিষেবা সীমার বাইরে। কেউ বলছেন, সংযোগ পেতে দৌড়তে হচ্ছে সারা বাড়ি। অনেকের অভিযোগ, কথা বলতে বলতে কেটে যাওয়া তো আছেই। কাউকে কল করার পরে ফোন বাজছে কিছুক্ষণের নীরবতার পরে। কথা বলার মাঝেও হঠাৎ চুপচাপ হয়ে যাচ্ছে সব। তখন সংযোগ কেটে ফোন করাও যাচ্ছে না।
গত ডিসেম্বরে মাসুল বাড়িয়েছিল টেলি সংস্থাগুলি। গ্রাহকদের একাংশের দাবি, তাঁরা বেশি মাসুল দিতে রাজি। কিন্তু পরিকাঠামো ঠিক করুক সংস্থা। প্রথমে প্রতিক্রিয়া দিতে না-চাইলেও সব সংস্থারই অবশ্য দাবি, পরিষেবায় অবনতির অভিযোগ ঠিক নয়। সার্বিক ভাবে পুরো ব্যবস্থায় সমস্যা নেই। স্থানীয় ও বিক্ষিপ্ত ভাবে ত্রুটি হলেও, অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজও চলছে। যা শুনে গ্রাহকদের বক্তব্য, এটি সান্ত্বনা ছাড়া আর কিছুই নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy