ফাইল চিত্র।
দূষণ ছড়ানোর অভিযোগে দুর্গাপুর কেমিক্যালসে (ডিসিএল) আপাতত উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দিল রাজ্যের শিল্প পুনর্গঠন দফতর। লোকসানে চলা সংস্থাটি বছর তিনেক আগে বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য। তবে কারখানায় এত দিন উৎপাদন চলছিল। সোমবার ওই নির্দেশ আসার পরে সংস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন।
১৯৬৮ সালে ওই কারখানায় বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। নানা রাসায়নিক ও সেগুলির উপজাত সামগ্রী তৈরি করে সংস্থাটি। সংস্থা সূত্রের খবর, বছর পনেরো আগে প্রযুক্তি পাল্টে কারখানার দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ৩০ টন থেকে বেড়ে ১০০ টন করা হলেও, লোকসানে রাশ টানা যায়নি। ২০১৬ সালের অগস্টে রাজ্য যখন সংস্থাটির বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত নেয়, তখন সেটির লোকসানের অঙ্ক ১৭৮ কোটি টাকা।
সংস্থা সূত্রের খবর, কারখানায় দূষণের জেরে উৎপাদন বন্ধ রাখার সুপারিশ করেছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। এ দিন রাজ্যের শিল্প পুনর্গঠন দফতর পর্ষদের বার্তার কথা জানিয়ে উৎপাদন আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। দূষণ নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত ব্যবস্থার পরে ফের তা চালু করা যেতে পারে বলেও অবশ্য জানিয়েছে পর্ষদ।
যদিও কারখানায় আর উৎপাদন হবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে শ্রমিক-কর্মীদের অনেকেই। রাজ্যের ওই কারখানা চালানোর সদিচ্ছা আদৌ নেই বলে দাবি করেছেন দুর্গাপুরের সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকার। আজ, মঙ্গলবার কারখানার গেটে সিটু এবং আইএনটিইউসির তরফে যৌথ বিক্ষোভ হবে বলে জানান তিনি।
কারখানার এক আধিকারিক অবশ্য বলেন, ‘‘দূষণের অভিযোগ অনেক দিনের। তা অতিরিক্ত মাত্রায় পৌঁছেছে বলে জানানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’
আইএনটিটিইউসির নেতা তথা দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র পারিষদ প্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কর্মীদের পাশে আছি। কী নির্দেশ এসেছে, তা দেখে পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy