—প্রতীকী ছবি।
বিশ্ব জুড়ে এই সপ্তাহেও বাজারের উপর অনিশ্চয়তার মেঘ জমে ছিল। এই মেঘ চট করে কাটবে বলে মনে হচ্ছে না। তবে ভারত-সহ বিশ্বের সব বাজারেই এই আবহেও লগ্নিকারীরা আশা ছাড়তে নারাজ। তার প্রমাণ দেখা যাচ্ছে অল্প করে হলেও প্রায় সব বাজারেই সূচকের বৃদ্ধি। তা সে যত কমই হোক।
ভারতে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই) অবশ্য সপ্তাহ শেষ করেছে এক চমক দিয়ে। এনএসই-র সাইট অনুযায়ী পশ্চিমি দুনিয়া থাঙ্কস গিভিঙের ছুটিতে যাওয়ার মুহূর্তে ওয়ারেন বাফেটের বার্কশায়ার হাথাওয়ে শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ওয়ান৯৭-এর ১ কোটি ৫৬ লক্ষ শেয়ার ১ হাজার ৩৭০ কোটি টাকায় বিক্রি করে সংস্থাটি থেকে বেরিয়ে যায়। ডিজিটাল পেমেন্ট এবং পেমেন্ট ব্যাঙ্ক সংস্থা পেটিএম ওয়ান৯৭-এর সংস্থা। বার্কশায়ার হাথাওয়ে ২০১৮ সালে সংস্থাটির ২.৬ শতাংশ শেয়ার কিনেছিল ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা দিয়ে।
উল্লেখ্য, পেটিএম গত বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকের তুলনায় এই বছরের একই ত্রৈমাসিকে ৩২ শতাংশ বেশি আয় দেখিয়েছে। তার আগের ত্রৈমাসিকে সংস্থাটি ৩৫৭ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছিল। শুক্রবার বাজার বন্ধের সময় সংস্থাটির শেয়ারের দাম ছিল ৮৯৩ টাকা।
কিন্তু তাতে না দমে গিয়ে এনএসই এবং বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ বা বিএসই আশা হারাতে নারাজ ছিল। দুই বাজারেই সূচক উঠেছে। যদিও বিরাট কিছু নয়। অনেকেই মনে করছেন আগামী বেশ কয়েক সপ্তাহ নিফটি ১৯,৯০০ বা তার আশেপাশে ঘোরাফেরা করবে।
তবে এ সপ্তাহের বাজার ছিল নতুন শেয়ারের। বিশেষ করে টাটা টেকনোলজির বাজারে প্রবেশ করার উপর। বহু বছর বাদে টাটাদের কোনও নতুন সংস্থা বাজারে এল। এ ছাড়াও ফ্লেয়ার রাইটিং ইন্ডাস্ট্রিজ সহ আরও বেশ কিছু সংস্থা বাজারে পা রাখল গত সপ্তাহে।
কিন্তু ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম আরও ৬ পয়সা পড়ায় এবং এই পড়া অব্যাহত থাকায় বাজারে একটা অনিশ্চয়তার জায়গা তৈরি হয়েছে। রফতানিকারীদের ক্ষেত্রে বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম ডলারে কমে যাওয়ায় তাদের যেমন সুবিধা হয়েছে ঠিক তেমনই বিক্রির পরে দাম পাওয়ার সময় যদি টাকার দাম বাড়ে তা হলে তাদের লাভের অঙ্ক ঘেঁটে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
পাশাপাশি আমেরিকার বাজারেও যেমন মূল্যবৃদ্ধির হার কমার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে ঠিক তেমনই উৎপাদন শিল্পে সঙ্কোচন এবং কর্মসংস্থানে সঙ্কোচন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে মূল্যবৃদ্ধির হার কমায় সুদের হারও কমবে এই আশায় বুক বেঁধেছে বাজার তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে সূচকেও। ইউরোপের বাজারের সূচকেও একই কারণে আশার আলো। তবে আগামী বেশ কয়েক মাসের মধ্যে পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন কেউই আশা করছেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy