ভ্লাদিমির পুতিন। — ফাইল চিত্র।
অতিমারি কাটিয়ে অর্থনীতি ছন্দে ফেরার আগেই ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধকে কেন্দ্র করে চড়া মূল্যবৃদ্ধির কবলে পড়েছিল বিশ্ব। নানা ভূ-রাজনৈতিক সঙ্কট, প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও চিনে ফের করোনার চোখরাঙানি তেল-গ্যাসের বাজারে অনিশ্চয়তা বাড়াচ্ছে। কখনও উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে জ্বালানির জোগান সঙ্কট ও দাম বৃদ্ধির ভ্রূকুটি নিয়ে, কখনও মন্দার আশঙ্কায় তেলের দাম ফের তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। এরই মধ্যে দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গ্যাজ়প্রম পাইপলাইনে গ্যাসের জোগান বন্ধ করা। এর মাধ্যমে জার্মানিকে গ্যাস সরবরাহ করে তারা। মস্কো বলেছে, মেরামতের কাজের জন্য বুধবার থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেটি বন্ধ থাকবে। গত মাসেও একই কারণে কয়েক দিন বন্ধ ছিল।
বুলগেরিয়া, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ডে গ্যাসের জোগান এর মধ্যেই বন্ধ করেছে রাশিয়া। অন্যান্য পাইপলাইনেও জোগান কমিয়েছে। ফলে শঙ্কিত ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। পশ্চিমী দুনিয়া রাশিয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় এক সময় পাল্টা গ্যাসের জোগান বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল মস্কো। একাংশের প্রশ্ন, সেই প্রেক্ষিতে বিষয়টি পরিকল্পিত নয় তো? বিভ্রাটের যুক্তিতে পাইপলাইন বন্ধ থাকার মেয়াদ বাড়লে গ্যাসের দাম আরও চড়ারও আশঙ্কা। যা মূল্যবৃদ্ধিকে আরও ঠেলে তুলবে। অগস্টে ইউরোপীয় অঞ্চলের ১৯টি দেশের মূল্যবৃদ্ধির হার জুলাইয়ের (৮.৯%) চেয়ে বেড়ে হয়েছে ৯.১%। রাশিয়া প্রযুক্তিগত কারণ দেখালেও জার্মানির অর্থমন্ত্রী রবার্ট হেবেক-এর দাবি, ওই পাইপলাইনটিতে কোনও প্রযুক্তিগত ত্রুটি নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy