মনমোহন সিংহ।—ছবি পিটিআই।
চাহিদা, কর্মসংস্থান, শিল্পোৎপাদন, পরিকাঠামো-সহ অর্থনীতির বহু মাপকাঠিই তলানিতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একের পর এক পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র। অর্থনীতিবিদেরা যদিও মনে করছেন, অদূর ভবিষ্যতে এর সুফল ঘরে ওঠার আশা কম। হয়তো দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেও আর্থিক বৃদ্ধির হার আশাপ্রদ হবে না। এই অবস্থায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের দাবি, একটি রাষ্ট্রের অর্থনীতি আসলে তার সামাজিক অবস্থার প্রতিফলনও বটে। রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নাগরিকদের লেনদেনের প্রভাব পড়ে অর্থনীতিতে। এই দুই পক্ষের পারস্পরিক আস্থা এবং আত্মবিশ্বাসই অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু মোদী সরকারের আমলে এই বাঁধনটাই ছিঁড়ে গিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক নিবন্ধে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ, চিনের আর্থিক গতি কমা, তেলের দাম হ্রাস-সহ আন্তর্জাতিক অর্থনীতির একাধিক বিষয় ভারতের সামনে বিপুল সম্ভাবনার রাস্তা খুলে দিয়েছে। কিন্তু তাকে কাজে লাগানোর জন্য প্রতিষ্ঠান ও নাগরিকের মধ্যে সেই পারস্পরিক আস্থাই আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। ঘটনাচক্রে, সোমবারই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে জানান, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সরকার বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলছে। তার ভিত্তিতে পদক্ষেপ করা হবে। অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের বক্তব্য, জি-২০ দেশগুলির মধ্যে এখনও ভারতের অর্থনীতি দ্রুততম।
নিবন্ধে মনমোহনের দাবি, বহু শিল্পপতিই তাঁকে বলেছেন যে, তাঁরা সরকারি প্রতিষ্ঠানের হয়রানির ভয়ে রয়েছেন। ব্যাঙ্কগুলি নতুন ঋণ দেওয়ার ঝুঁকি নিতে পারছে না। ব্যর্থ হলে কী হতে পারে, সেই আশঙ্কায় উদ্যোগপতিরা নতুন প্রকল্প হাতে নিতেও ভয় পাচ্ছেন। এর সঙ্গেই যোগ হয়েছে কর নিয়ে হয়রানির আশঙ্কা। এই সমস্ত কিছুই অর্থনীতির কণ্ঠরোধ করছে। পাশাপাশি, আগের সরকারের সমস্ত আর্থিক পদক্ষেপকেই সন্দেহের চোখে দেখা, নোটবন্দির মতো ‘হঠকারী’ পদক্ষেপ অর্থনীতিকে আরও ঝুঁকির পথে ঠেলে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ১ ডিসেম্বর থেকে মাসুল বাড়াচ্ছে ভোডাফোন-এয়ারটেল
এই সমস্যা থেকে বার হওয়ার জন্য মূলত দু’টি দাওয়াই দিয়েছেন মনমোহন। আর্থিক পদক্ষেপের মাধ্যমে চাহিদা বাড়ানো এবং সামাজিক আস্থা ফিরিয়ে এনে বেসরকারি লগ্নিকে উজ্জীবিত করা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy