ফাইল চিত্র।
সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে আলিপুরদুয়ারে এসে চা শ্রমিকদের অন্তর্বর্তী মজুরি ১৫% বাড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বছর বিধানসভা ভোটের আগে ক’দফা বৈঠকের পরে রাজ্যের শ্রম দফতর চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ২০২ টাকা করে। ঘটনাচক্রে, তার পরেই অসমে মজুরি বাড়ে। তা এ রাজ্যের থেকে বেশিবলেই দাবি। চা শিল্পের মতে, এ বারের সিদ্ধান্তে এ রাজ্য পড়শিকে পেরোবে।
আলিপুরদুয়ারের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে মমতা বলেন, “ক্ষমতায় আসার আগে চা শ্রমিকদের মজুরি ছিল মাত্র ৬৭ টাকা। ১১ বছরে তা বাড়িয়ে ২০২ টাকা করেছি। আরও বাড়ানো হবে। তা না বাড়া পর্যন্ত ১৫% অন্তর্বর্তী রিলিফ পাবেন।”
শ্রম দফতর সূত্রে খবর, গত বছর বিধানসভা ভোটের আগে মজুরি ২৬ টাকা বাড়ানো হয়। ১৫% অন্তর্বর্তী বৃদ্ধি হলে এই দফায় তা ৩২ টাকা বাড়তে পারে। কিন্তু চা শিল্পে ন্যূনতম মজুরির দাবি নিয়ে এখনও মীমাংসা হয়নি। বেশ ক’বছর আগে পরামর্শদাতাকমিটি গড়া হয়। তাদের একাধিক বৈঠকেও সিদ্ধান্ত হয়নি। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় উত্তরবঙ্গে ২৭৮টি চা বাগানের শ্রমিক উপকৃত হবেন বলে দাবি প্রশাসনের কর্তাদের। তবে চা মালিকদের সংগঠন ডিবিআইটিএ-র সচিব সঞ্জয় বাগচী বলেন, “ঘোষণা শুনেছি। সরকারি ভাবে বিস্তারিত তথ্য না জানা পর্যন্ত কিছু বলা সম্ভব নয়।”
চা বলয় অধ্যুষিত মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা বলেন, “অন্তর্বর্তী মজুরি বৃদ্ধিতে বিশ্বাসী নই।এ ভাবে চা শ্রমিকদের ঠকাচ্ছে তৃণমূল। আমরা ন্যূনতম মজুরির পক্ষে।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইকের পাল্টা, ‘‘মনোজ টিগ্গা ছ’বছর ধরে বিধায়ক থেকে চা শ্রমিকদের জন্য কী করেছেন? তাঁদের যাবতীয় উন্নয়ন মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই হচ্ছে। ভবিষ্যতে এই মজুরি আরও বাড়বে।’’
এ দিন মমতা বলেন, “সব চা বাগানে চা সুন্দরীর ঘর বানিয়ে দেব। ...হোম স্টে তৈরির ক্ষেত্রে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে সাহায্য করতে রাজ্য রাজি।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy