ছবি: সংগৃহীত।
পরের অর্থবর্ষে ভারতের বৃদ্ধির হার ১১% হবে বলে পূর্বাভাস করেছে আর্থিক সমীক্ষা। যাকে সামনে রেখে অর্থনীতির হাল ফেরার প্রচারে নামতে আগ্রহী সরকারের একাংশ। শনিবার মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যনের দাবি, সেই বৃদ্ধির হার ধরেই দেশে ফিরবে বেসরকারি লগ্নির জোয়ার। গত কয়েক বছর ধরে কার্যত যার দেখা নেই।
আর্থিক সমীক্ষা বলছে, চলতি ২০২০-২১ অর্থবর্ষে করোনার জেরে দেশের অর্থনীতি সঙ্কুচিত হবে ৭.৭%। সেখান থেকেই কম ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে ২০২১-২২ সালে বৃদ্ধি ছাড়াবে ১০%। আজ সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুব্রহ্মণ্যনের মতে, অর্থনীতি সব সময়েই ওঠা-পড়ার মধ্যে দিয়ে যায়। তার মধ্যেই সামনে যখন সুযোগের দেখা মেলে, তখনই বেসরকারি ক্ষেত্র লগ্নির জন্য ঝাঁপায়। কিন্তু যখন অর্থনীতির হাল খারাপ হলেই তারা হাত গুটিয়ে ফেলে। তখন সরকারকে মাঠে নামতে হয়। হাল ধরতে হয় লগ্নি, চাহিদার।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গত কয়েক বছরে লগ্নি তো কার্যত দূর অস্ত্, বরং নিজেদের হিসেবের খাতা পরিষ্কার করতে ব্যস্ত বেসরকারি সংস্থাগুলি। যে কারণে সেই অভাব পূরণ করার জন্য কেন্দ্র ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে লগ্নির কথা ঘোষণা করতে হয়েছে। কিন্তু তাতেও সে ভাবে অর্থনীতিতে প্রাণ ফেরেনি। তার উপরে গত বছর থাবা বসিয়েছে করোনা।
অতিমারির আগেই অবশ্য ছ’বছরের তলানি থেকে অর্থনীতি টেনে তুলতে এবং বেসরকারি ক্ষেত্রকে বিনিয়োগে উৎসাহ দিতে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে কর্পোরেট কমানোর কথা ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। বার বার বলা হয়েছে পরিকাঠামোয় বিনিয়োগ পাঁচ বছরে ১১১ লক্ষ কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়ার কথাও। কিন্তু তার পরেও লগ্নির ঝুলি নিয়ে হাজির হয়নি তারা।
সুব্রহ্মণ্যনের কথায়, ইতিমধ্যেই অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা পরিকাঠামোয় সরকারি লগ্নি বিপুল হারে বেড়েছে। আর এই ক্ষেত্রে ব্যয় বাড়লে বিভিন্ন সংস্থা সেখানে টাকা ঢালতে আগ্রহ দেখায়। ফলে আগামী দিনে এর হাত ধরেই দেশে বেসরকারি লগ্নির জোয়ার আসবে বলে মনে করেন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy