সম্প্রতি আর্থিক প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন বলিউড অভিনেতা রাজকুমার রাও। কে বা কারা তাঁর নামে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে নিয়েছেন। অভিনেতাকে না জানিয়েই ব্যবহার করা হয়েছে রাজকুমারের প্যান। এই বিপদ শুধু রাজকুমারের নয়, হতে পারে সবারই। আসলে এত জায়গায় প্যান জমা দিতে হয় যে তা গোপন রাখা সম্ভব নয়। কিন্তু নিয়মিত খোঁজ নেওয়া দরকার কেউ ওই প্যান ব্যবহার করে ঋণ নিয়ে নিচ্ছে কি না। আর সেটা হলে সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। কারণ, ঋণ নেওয়া মানে শুধু আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনাই নয়, সেই সঙ্গে সিবিল (ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (ইন্ডিয়া) লিমিটেড) স্কোর বদলে যায়। যা পরবর্তী ক্ষেত্রে ঋণ নেওয়া বা অন্যান্য আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে।
তিনি যে প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন তা গত শনিবারই টুইট করে জানিয়েছেন রাজকুমার। তিনি জানান, তাঁর প্যানের অপব্যবহার হয়েছে। কেউ সেই প্যান ব্যবহার করে ঋণ নিয়েছেন। তবে ঋণের অঙ্ক বেশি নয়। রাজকুমার জানিয়েছেন, এই ঋণের প্রভাব পড়েছে তাঁর সিবিলের উপরে। এর জন্য সিবিল কর্তৃপক্ষকে ট্যাগ করে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন রাজকুমার।
#FraudAlert My pan card has been misused and a small loan of Rs.2500 has been taken on my name. Due to which my cibil score has been affected. @CIBIL_Official please rectify the same and do take precautionary steps against this.
— Rajkummar Rao (@RajkummarRao) April 2, 2022
আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজকুমারের মতো বিপদ অনেকেরই হতে পারে। এ ক্ষেত্র ঋণের অঙ্ক কম কিন্তু কারও ক্ষেত্রে বড় রকমের চাপও তৈরি হতে পারে। এ থেকে বাঁচতে নিয়মিত সিবিল স্কোর যাচাই করা উচিত। তবে তার আগে প্যান ও আধারের নম্বর যতটা সম্ভব গোপন রাখাই উচিত।
প্যান প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। কেউ কোনও ব্যাঙ্ক বা অন্য আর্থিক সংস্থা থেকে ঋণ নিলে সেই তথ্য ক্রেডিট ব্যুরো নিয়মিত সংগ্রহ করে। সেই অনুযায়ী ঠিক হয় কোনও ব্যক্তির সিবিল স্কোর। এই স্কোর নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ও আর্থিক সংস্থার মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে তা পরীক্ষা করা যায়। সেখানে গেলেই দেখা যায় সংশ্লিষ্ট প্যান ব্যবহার করে কোন ব্যাঙ্ক থেকে কবে কত টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে।