Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বঞ্চনার অভিযোগ জেট লাইট কর্মীদের

জেট লাইট কর্মীদের আইনজীবী শেখর নানাবতী বলেন, জেট এয়ারের পর্ষদ ভাঙা হয়েছে। অথচ খাতায়-কলমে জেট লাইটের আগের পর্ষদই রয়ে গিয়েছে।

ক্ষোভ: সাংবাদিক বৈঠকে জেট লাইটের কর্মীরা। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

ক্ষোভ: সাংবাদিক বৈঠকে জেট লাইটের কর্মীরা। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৯ ০২:৫৮
Share: Save:

উড়ান যত দিন চালু ছিল, তত দিন কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন জেট এয়ারওয়েজের কর্মীদের সঙ্গে। মাসে বেতনের স্লিপও আসত জেট এয়ারের ‘পে রোল-আইডি’ থেকেই। কিন্তু মুখ থুবড়ে পড়া জেট এয়ার এনসিএলটি-তে যাওয়ার পরে বকেয়া বেতন-সহ পাওনা পাওয়ার বিষয়ে তাঁরা এখন কার্যত দুয়োরানির ব্যবহার পাচ্ছেন বলে অভিযোগ তুললেন জেট লাইটের কর্মীরা।

২০০৭ সালে এয়ার সহারাকে জেট হাতে নেওয়ার পরে মূলত তারই নাম বদলে হয় জেট লাইট। জেটের সস্তার উড়ান পরিষেবা দেওয়া পুরোদস্তুর শাখা সংস্থা। কিন্তু মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে সেই জেট লাইটের কর্মীদের অভিযোগ, সংস্থা পরিষেবা বন্ধ করার পরে নিজেদের বকেয়া বেতন দাবি করা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা।

জেট লাইটে দীর্ঘ দিনের ইঞ্জিনিয়ার আর কে গুপ্তর অভিযোগ, জেট এনসিএলটিতে যাওয়ায় আশা ছিল, এ বার অন্তত বকেয়া টাকা পাবেন তাঁরা। কিন্তু ২ জুলাই এনসিএলটি নিযুক্ত আইআরপি জানান যে, নিয়ন্ত্রকের কাছে রেকর্ড অনুযায়ী আইনি ভাবে জেট লাইট সম্পূর্ণ পৃথক সংস্থা। খাতায়-কলমে ধারও নেই তাদের। ফলে জেট এয়ারকে এনসিএলটি-তে পাঠিয়ে ঋণদাতাদের জোট যে বকেয়া আদায়ের আর্জি জানিয়েছে, তার সঙ্গে সম্পর্ক নেই জেট লাইটের। তাই পাওনা আদায়ের ফর্ম পর্যন্ত তাঁরা পূরণ করতে পারেননি বলে কর্মীদের দাবি।

কর্মীদের আর এক মুখপাত্র বিজয় ঝা-এর প্রশ্ন, আলাদা সংস্থা হলে এত বছর জেট লাইটের বহু কর্মী জেট এয়ারের বিমান রক্ষণাবেক্ষণ করলেন কী ভাবে? কী করেই বা একই পে-রোল থেকে বেতন পেলেন? আর যদি জেট লাইট সত্যিই ঋণমুক্ত ও ভাল আর্থিক স্বাস্থ্যের সংস্থা হয়, তবে ১৭ এপ্রিল জেট এয়ারের সঙ্গে তাদের উড়ানও বন্ধ হল কেন? কেনই বা জানুয়ারি থেকে বেতন মেলেনি? শুধু তা-ই নয়, নভেম্বর থেকে আয়ের উৎসে কাটা কর সংস্থা আয়কর দফতরে জমা দেয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ। দাবি, কর্মী পিএফ ও পেনশনের টাকাও ফেব্রুয়ারি থেকে আর কেন্দ্রের ঘরে জমা পড়েনি।

জেট লাইট কর্মীদের আইনজীবী শেখর নানাবতী বলেন, জেট এয়ারের পর্ষদ ভাঙা হয়েছে। অথচ খাতায়-কলমে জেট লাইটের আগের পর্ষদই রয়ে গিয়েছে। তাতে নাম আছে প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গয়ালের। বেতন না পেয়ে হেনস্থা হচ্ছেন প্রায় ৬০০ কর্মী। তিনি জানান, সমস্যার কথা সংস্থা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। চাইছেন, হয় জেট লাইট ফের চালু হোক, নয়তো নিদেন পক্ষে জেট এয়ারের মতোই বিক্রির জন্য তোলা হোক তাকে। যাতে সেই টাকায় বকেয়া পান কর্মীরা। না হলে, জেট লাইটের জন্য এনসিএলটি-তে পৃথক আর্জি জানানো হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

JetLite Salary
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy