প্রতীকী ছবি।
দূষণ ও তেলের আমদানি খরচ কমাতে দেশের রাস্তায় যত দ্রুত সম্ভব পুরোদস্তুর বৈদ্যুতিক গাড়ি চালানোর উপরে জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। তেমন সময় বেঁধে না দিলেও, চলতি বছরের বাজেটে ওই গাড়ির চাহিদা বাড়ানোর পথে হাঁটতেও দেখা গিয়েছে তাদের। তবে ভারতে এই লক্ষ্য পূরণের জন্য আরও বেশ কিছু দিন সময় লাগবে বলে মন্তব্য করেছেন ফোর্ড ইন্ডিয়ার এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর (মার্কেটিং, সেলস এ্যান্ড সার্ভিসেস) বিনয় রায়না। আর তার কারণ হিসেবে সেই পরিকাঠামোর অভাবের দিকেই ইঙ্গিত তাঁর। যে কথা বার বার বলছে শিল্প মহলের একাংশও।
সম্প্রতি কলকাতায় তাঁদের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধনে এসে রায়না বলেন, কিছু দেশে যেমন ইতিমধ্যেই জোর কদমে বৈদ্যুতিক গাড়ি চালু হয়ে গিয়েছে, ভারতেও তেমন হবে। তবে সময় লাগবে।
ফোর্ড কর্তার দাবি, বিশ্বে যে সব দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার গড়ে উঠেছে, তারা লম্বা পথ হেঁটে সেখানে পৌঁছেছে। চট করে তা হয়নি। তাঁর কথায়, ‘‘এটা অনেক দীর্ঘ একটা রাস্তা। সেখানে হাঁটতে ভারতেও কিছুটা সময় লাগবে।’’ এর কারণ হিসেবে এখনও পর্যন্ত এ দেশে ওই গাড়ি চালানোর মতো যথেষ্ট সহায়ক পরিকাঠামো তৈরি না হওয়ার দিকেও ইঙ্গিত করেছেন তিনি। বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা বাড়াতে ক্রেতাকে সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি, এই গাড়িতে কর কমানোর প্রস্তাবে আগেই সায় দিয়েছে জিএসটি পরিষদ। কমেছে বৈদ্যুতিক গাড়ির চার্জার, চার্জিং স্টেশনে করও। তবে শিল্পের একাংশের মতে, পোক্ত নীতি না আনলে এগোনো মুশকিল।
এ দিকে, এপ্রিল থেকে বিএস৬ মাপকাঠির দূষণ বিধি চালু হলে, সেই অনুযায়ী ডিজেল গাড়ি মিলবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে বাজারে। কারণ, এখনই একটি গাড়ির পেট্রলের চেয়ে ডিজেল মডেলের দাম গড়ে এক লক্ষ টাকা বেশি। বিএস৬ বিধির ক্ষেত্রে সেই দামের ফারাক আরও বাড়তে পারে। গাড়ি শিল্পের দাবি, তখন ক’জন ডিজেল গাড়ি কিনবেন, তাতে সংশয় আছে। অনেকেরই ইঙ্গিত, তাই হয়তো আর ডিজেল সংস্করণ বানাবে না তারা। তবে বিনয় জানিয়েছেন, তাঁরা বিএস৬ বিধি মেনে নতুন গাড়ির পেট্রল-ডিজেল, দুই সংস্করণই আনবেন। কারণ আগামী দিনেও ডিজেল গাড়ির চাহিদা থাকবে বাজারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy