—প্রতীকী চিত্র।
অর্থবর্ষ ২০২৩-২৪ লগ্নিকারীদের লাভের ঝুলি ভরিয়ে দিয়েছে। সদ্য ফেলে আসা বছরে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হারে সম্পদ বেড়েছে শেয়ার ও শেয়ার ভিত্তিক ফান্ড ক্রেতাদের অ্যাকাউন্টে। অন্য দিকে, জমায় সুদের হার মোটের উপর চড়া থাকায় ঝুঁকিবিমুখ স্থির আয় প্রকল্পের লগ্নিকারীরাও হতাশ হননি।
সেনসেক্স ও নিফ্টি, দুই সূচকই গত এপ্রিল থেকে মার্চ পর্যন্ত বেড়েছে যথাক্রমে ২৪.৮৫% ও ২৮.৬১%। তবে তাদের অনেক পিছনে ফেলে অবিশ্বাস্য গতিতে দৌড়েছে বাজারে মোট শেয়ারমূল্যের নিরিখে মাঝারি (মিডক্যাপ) এবং ছোট (স্মলক্যাপ) শেয়ারগুলি। নিফ্টি মিডক্যাপ ১০০ এবং নিফ্টি স্মলক্যাপ ১০০ বেড়েছে যথাক্রমে ৬১% ও ৭২%। বড়দের মধ্যে সব থেকে বেড়েছে যে দু’টি শেয়ার তারা হল, টাটা মোটরস (১৩৬%) এবং বজাজ অটো (১৩৫%)। তবে এমন উজ্জ্বল বাজারেও যে সব বড় শেয়ার মাথা নামিয়েছে তার মধ্যে আছে হিন্দুস্তান ইউনিলিভার ও এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক।
গত অর্থবর্ষে বিশ্বে শেয়ার সূচকের মধ্যে সব থেকে বেশি বেড়েছে জাপানের নিক্কেই (৪৩%)। তার পরেই রয়েছে ভারতের নিফ্টি। ভারতীয় সূচকের চড়া উত্থানের বড় কারণ ছিল, বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির বিপুল বিনিয়োগ। যার মোট অঙ্ক ছুঁয়েছে ২০.২৪ লক্ষ কোটি টাকা। গত এক দশকে এ দেশে এটি তাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম বার্ষিক লগ্নি। বাজারে মোটা পুঁজি ঢুকেছে মিউচুয়াল ফান্ড থেকেও।
মাঝেমধ্যে সংশোধন হয়েছে বটে। তবে অর্থনীতি ভাল জায়গায় থাকার সুবাদে একটু বড় মেয়াদে বাজারের মুখ উপরের দিকেই ছিল। শেষ সপ্তাহেও সেনসেক্স বেড়েছে ৮১৯ পয়েন্ট। বছর শেষ করেছে ৭৩,৬৫১ অঙ্কে। শুক্রবার, আর্থিক বছরের শেষ শেয়ার লেনদেনের দিনে সূচক ওঠায় ব্যাঙ্ক এবং লগ্নিকারী সংস্থাগুলির হিসেবের খাতায় শেয়ার মূল্য ভাল দেখাবে।
বছর শেষে বিএসই-তে মোট লগ্নিকারীর সংখ্যা প্রায় ৩.৯২ কোটি (৩০.৬৪%) বেড়ে হয়েছে ১৬.৭১ কোটি। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আছে ৯২.২৫ লক্ষ অ্যাকাউন্ট। রাজ্য হিসেবে মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত এবং রাজস্থানের পরেই বাংলার স্থান।
এ বার সামনের দিকে তাকানো যাক। কেমন যেতে পারে আজই পা রাখা নতুন অর্থবর্ষ (২০২৪-২৫), একটু দেখে নেব—
(মতামত ব্যক্তিগত)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy