—প্রতীকী ছবি।
দীপাবলি মানেই দেশ জুড়ে স্বর্ণমহোৎসব। এই সময়টায় বহু মানুষ সোনা কেনেন। বর্তমানে গয়না ছাড়াও অনেকে ডিজিটাল সোনা কিনতে আগ্রহী। সে ক্ষেত্রে বহু বিনিয়োগকারীই গোল্ড এক্সচেঞ্জ ট্রেডিং ফান্ড বা গোল্ড বন্ড বেছে নেন। অনেকই হয়তো জানেন না এই বিশেষ ক্ষেত্রগুলিতে গ্রাহকেরা একাধিক সুবিধা পেয়ে থাকেন।
গোল্ড বন্ড
২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকার গোল্ড বন্ড প্রকল্প চালু করে। এর মাধ্যমে কোনও বিনিয়োগকারী হাতে সোনা না পেলেও সোনায় বিনিয়োগ করতে পারবেন। যদিও যে কোনও সময় এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করা যায় না। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে গোল্ড বন্ড সাবস্ক্রিপশনের একটি নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হয়। যেমন, চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে এই বন্ড সাবস্ক্রিপশনের সুযোগ মিলেছিল। সাবস্ক্রিপশন পর্ব চলেছিল ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বহু বিনিয়োগকারী সেই সময়টায় গোল্ড বন্ড কিনেছেন।
দাম নির্ধারণ এবং বিনিয়োগ
গোল্ড বন্ড চালু হওয়ার আগে শেষ তিনটি কর্মদিবসের ৯৯.৯ শতাংশ বিশুদ্ধ সোনার গড় দামের অনুসারে এই বন্ডের দাম নির্ধারণ করা হয়। ইন্ডিয়া বুলিয়ন অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন লিমিটেডের পক্ষ থেকে সোনার শেষ তিন দিনের যে দাম প্রকাশ করা হয়, তার উপর নির্ভর করেই বন্ডের মূল্য তৈরি করা হয়। ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিনিয়োগ করলে প্রতি গ্রামে ৫০ টাকা করে ছাড় মেলে।
একটি অর্থবর্ষে কোনও বিনিয়োগকারী সর্বোচ্চ চার কিলোগ্রাম পর্যন্ত সোনার সাবস্ক্রিপশন করতে পারেন। তবে ট্রাস্টের ক্ষেত্রে এই সাবস্ক্রিপশনের পরিমাণ ২০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত। গোল্ড বন্ডের মেয়াদ হয় আট বছরের। তবে পাঁচ বছর পার হয়ে গেলে বিনিয়োগকারী অর্থ তুলতে পারেন। সেই সময়ের মূল্য অনুসারে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীকে অর্থ প্রদান করা হবে। পাশাপাশি, এই প্রকল্পে পাওয়া যায় ২.৫০ শতাংশ সুদ।
গোল্ড ইটিএফ (গোল্ড এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড)
ডিজিটাল পদ্ধতিতে সোনায় বিনিয়োগের আরও একটি পদ্ধতি হল গোল্ড ইটিএফ। সাধারণত সোনার গয়না ক্রয়ের সময় ক্রেতাকে অতিরিক্ত চার্জ গুনতে হয়। তবে ইটিএফ-এর ক্ষেত্রে এই খরচ অনেকটাই কম। কোনও বিনিয়োগকারীর কাছে প্রকৃত সোনার দামের কাছাকাছি মূল্যে গোল্ড ইটিএফ-এ বিনিয়োগের সুযোগ থাকে। এখানে সোনার দামের উপর নির্ভর করে ইটিএফ-এর মূল্য।
কী ভাবে বিনিয়োগ করবেন?
এই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীর শেয়ার ব্রোকার-সহ একটি ট্রেডিং অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন হয়। প্রয়োজন পড়ে একটি ডিম্যাট অ্যাকাউন্টেরও। এই প্রকল্পে কোনও বিনিয়োগকারীর কাছে খুব সামান্য পরিমাণ সোনাতেও বিনিয়োগ করার সুযোগ থাকে। ইটিএফ-এ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আলাদা কোনও চার্জের প্রয়োজন হয় না। তবে, ক্রয় বা বিক্রয়ের সময় ব্রোকার খরচ লাগে। এই ধরনের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে লিক্যুইডিটিও অনেক বেশি। অর্থাৎ, ইচ্ছামতো গোল্ড ইটিএফ বিক্রি করা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy