প্রতীকী ছবি।
চিনা যন্ত্র, যন্ত্রাংশ, পণ্য ও কাঁচামাল আমদানিতে রাতারাতি দেওয়াল তোলার ডাকে দুশ্চিন্তা বাড়ছে শিল্প মহলের। আগেই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে রফতানি শিল্প, বৈদ্যুতিন পণ্য নির্মাতা, গাড়ি সংস্থাগুলি। এ বার মুখ খুলছে ওষুধ শিল্প, মোবাইল হ্যান্ডসেট নির্মাতারাও। জোগান-শৃঙ্খল (সাপ্লাই চেন) ছিঁড়ে গেলে অর্থনীতি আরও গভীর গর্তে পড়বে বলে সাবধান করছে তারা। তাতে অবশ্য চিনা পণ্য বিরোধী স্লোগানে ভাটা নেই। পথে নেমেছে খুচরো ব্যবসায়ীদের সংগঠন সিএআইটি। শনিবার রাস্তায় নামবে সঙ্ঘের শ্রমিক সংগঠন বিএমএস-ও।
মোবাইল ও বৈদ্যুতিন পণ্য সংস্থাগুলির সংগঠন আইসিইএ-র অভিযোগ, বহু কারখানার সামনে বিক্ষোভ চলছে। ভয়ের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে সংস্থা ও কর্মীদের জন্য। মোবাইল বিক্রেতাদের সংগঠন এআইএমআরএ বলছে, হামলার আশঙ্কায় বিপণিগুলি ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ লেখায় ছেয়ে ফেলছে চিনা মোবাইল ব্র্যান্ড শাওমি।
ক্ষোভ গাড়ি শিল্পেও। মারুতি সুজ়ুকির চেয়ারম্যান আর সি ভার্গবের কথায়, “আমদানি করতে হয় বিকল্প নেই বলে।” বিশ্ব বাজারে কল্কে পেতে সস্তার কাঁচামাল, যন্ত্রাংশ জরুরি। গাড়ির যন্ত্রাংশ নির্মাতাদের সংগঠন অ্যাকমার হিসেব, ২০১৯ সালে আমদানি করা যন্ত্রাংশের প্রায় ২৫% চিনের। অনেকগুলি অন্য কোথাও মেলে না। মহীন্দ্রা অ্যান্ড মহীন্দ্রার এমডি পবন গোয়েন্কার মতে, উৎপাদন শিল্পে আন্তর্জাতিক জোগান শৃঙ্খলের অংশ হতে গেলে, বাড়াবাড়ি প্রতিক্রিয়া দেখালে মুশকিল।
পরিস্থিতি বিগড়ালে, বিপদে পড়ার আশঙ্কা ওষুধ শিল্পের। চিনা কাঁচামাল যাতে আটকে না-থাকে, সে জন্য কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়েছে বস্ত্র রফতানিকারীরা। সদস্যদের আমদানির জন্য বিকল্প দেশ খুঁজতে বলেছে বণিকসভা ফিকি। দেশে যন্ত্রাংশ তৈরি জরুরি মেনেও ভোগ্যপণ্য সংস্থা গোদরেজ অ্যাপ্লায়েন্সের কর্তা কমল নন্দী ও সঞ্জীব জৈনের দাবি, রাতারাতি সেই বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি হয় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy