প্রতীকী ছবি
বিরোধী ও বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের অভিযোগ, করোনায় ঘায়েল অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কেন্দ্র রাজকোষ থেকে আর্থিক সাহায্য পৌঁছনোর বদলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যাঙ্ক ঋণের ব্যবস্থা করেছে। এ নিয়ে নিয়মিত মোদী সরকারকে বেঁধে তারা। প্রশ্ন তোলে, বাজারে বিক্রিবাটা না-বাড়লে, ঋণ নেবে কেন শিল্প? এ বার সেই প্রশ্নই তুলল বণিকসভা অ্যাসোচ্যাম। স্পষ্ট জানাল, ব্যাঙ্কে টাকা পড়ে থাকলেও, তা নেওয়ার লোক নেই। চাহিদার অভাবে কারখানাই পুরো চালু করা যাচ্ছে না। তাই নেই নতুন লগ্নির তাড়াও।
অবিলম্বে বাজারে চাহিদা বাড়াতে আনলক পর্বে মাল্টিপ্লেক্স, সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ, আন্তর্জাতিক উড়ানের মতো কিছু ক্ষেত্রকে আরও ছাড় দেওয়ার দাবি জানিয়েছে আর এক বণিকসভা ফিকি। তাদের দাবি, দীর্ঘ লকডাউন ব্যবসা ও চাকরিকে পর্যদুস্ত করেছে। মেট্রো রেল, আন্তর্জাতিক উড়ান, পর্যটন ইত্যাদি খুললে চাহিদা বাড়বে।
অ্যাসোচ্যামের মতে, এমনিতেই বহু সংস্থার ঘাড়ে বিপুল ঋণ। বর্তমান আর্থিক সঙ্কটে যা শোধ করা কঠিন। তার উপরে চাহিদা উধাও। ফলে নতুন ঋণের খিদে উবে গিয়েছে শিল্পের। বণিকসভাটির সেক্রেটারি জেনারেল দীপক সুদ বলেন, সংস্থাগুলি অর্ধেক উৎপাদন ক্ষমতা নিয়ে চলছে। এই অবস্থায় নতুন ঋণ পাল্টা ধাক্কা দিতে পারে। তাঁর কথায়, ‘‘ঋণ সহজলভ্য হলেও, তা শোধের ক্ষমতা সংস্থার রয়েছে কি না সেটাই আসল। সরকার ছাড়া আপাতত ঋণ কেউ নিচ্ছে না।’’
অ্যাসোচ্যামের দাবি
• বাজারে চাহিদাই নেই।
• বহু কারখানা অর্ধেক উৎপাদন ক্ষমতায় চলছে।
• ফলে বিভিন্ন শিল্পেই বেশির ভাগ সংস্থার নতুন লগ্নির আগ্রহ নেই। যে কারণে তেমন খিদে নেই ঋণের। বরং আগের ধারের বোঝা শোধই এখন মাথাব্যথা।
বণিকসভার কর্তাদের আক্ষেপ, ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় এখন নগদের জোগান বিপুল। কেন্দ্র ব্যাঙ্কগুলিকে আরও ধার দিতে বলছে। কিন্তু নেওয়ার কেউ নেই। তাঁদের মতে, রাজকোষ ঘাটতি বৃদ্ধির মাসুল গুণতে হলেও, এখন সরকারি ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ হতে হবে। এ ছাড়া পথ নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy