প্রতীকী ছবি।
অতিমারির ঝড় সামাল দিতে রাজ্যে রাজ্যে চলছে স্থানীয় লকডাউন কিংবা বিধিনিষেধ। বিঘ্নিত হয়েছে শিল্প-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের কাজ। সে কারণে এপ্রিলের পূর্ণাঙ্গ শিল্পোৎপাদন পরিসংখ্যান প্রকাশ করতে পারল না কেন্দ্র। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করাচ্ছে, করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময়ে দেশব্যাপী লকডাউনের জন্য গত বছরের এপ্রিলের পূর্ণাঙ্গ তথ্যও সেই সময়ে প্রকাশ করতে পারেনি জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর (এনএসও)।
শুক্রবার এনএসও যে আংশিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে, সেই অনুযায়ী এপ্রিলে শিল্পোৎপাদন সূচক দাঁড়িয়েছে ১২৬.৬। এক বছর আগের লকডাউনের সময়ে যা ৫৭.৩ ছিল। এই তথ্য অনুযায়ী শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধির হার এই এপ্রিলে ছিল ১৩৪%। যা আদতে রেকর্ড। তবে এ দিন কেন্দ্রের প্রকাশ করা বিজ্ঞপ্তিতেই ব্যাখ্যা করা হয়েছে, গত বছরের একই সময়ে শিল্পোৎপাদন অনেক ক্ষেত্রে কার্যত শূন্যে নেমেছিল। ফলে এই তথ্য বিশ্লেষণ করা হচ্ছে খুবই নিচু
ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে। অর্থনীতির স্বাভাবিক অবস্থার সঙ্গে পরিসংখ্যান তুলনীয় নয়। ২০১৯ সালের এপ্রিলকে ভিত ধরে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে, কার্যত কোনও বৃদ্ধিই হয়নি এই দফায়। অর্থাৎ, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শিল্পের ঘুরে দাঁড়ানোর পথে বাধা সৃষ্টি করেছে।
এনএসও জানিয়েছে, প্রাপ্য তথ্য অনুযায়ী খনন, উৎপাদন এবং বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের সূচক দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১০৮, ১২৫.১ এবং ১৭৪ পয়েন্ট। গত মার্চেও সংখ্যার নিরিখে শিল্পবৃদ্ধির হার ছিল ২২.৪%। সেই সময়েও বিশেষজ্ঞেরা বলেছিলেন, এই ছবি স্বস্তির নয়। কারণ, লকডাউনের জেরে ২০২০ সালের মার্চে শিল্পোৎপাদন ১৮.৭% সঙ্কুচিত হয়েছিল। সেই নিচু ভিতের নিরিখে হিসেব কষার ফলেই ওই হারকে বড় দেখাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy