ফাইল চিত্র।
টাকার পতনে বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার ক্রমশ হালকা হচ্ছে। গত সপ্তাহে অর্থাৎ, ২১ অক্টোবর শেষ হওয়া সপ্তাহে তা প্রায় ৩৮০ কোটি ডলার কমেছে। কমে তা ৫২,৪০০.৫২ কোটিতে এসে ঠেকেছে। যা ২০২০ সালের জুলাই মাসের পর সর্বনিম্ন। শুক্রবার এই তথ্য প্রকাশ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, ডলারের নিরিখে টাকা যাতে শক্তি না হারায় তা নিশ্চিত করতে আমেরিকার মুদ্রা বিক্রি করে চলেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। যা ভান্ডার কমার অন্যতম কারণ।
গত বছর অক্টোবরে বিদেশি মুদ্রা ভান্ডার ছিল প্রায় ৬৪,৫০০ কোটি ডলার। যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। তার পর থেকে ক্রমশ কমছে। বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, আমেরিকায় সুদ বৃদ্ধি এবং ভারতে আমদানি বাড়ায় ডলার শক্তিশালী হচ্ছে। ফলে টাকাকে সহায়তা দিতে শীর্ষ ব্যাঙ্ককে বাজারে ডলারের সরবরাহ বাড়াতে হচ্ছে। বিদেশি মুদ্রা ভান্ডারও কমছে। প্রসঙ্গত, দিনে দিনে দর কমছে ভারতীয় মুদ্রার। ইতিমধ্যেই ডলার প্রতি টাকার দাম ৮৩ টাকা ছুঁয়ে ফেলেছিল। বৃহস্পতিবার টাকার দাম কিছুটা বাড়লেও ডলার ৮২ টাকার উপরেই রয়েছে।
আমদানি খরচ মেটানোর পাশাপাশি অর্থনীতির ঝড়-ঝাপ্টা সামলাতে বিদেশি মুদ্রা ভান্ডার কাজে লাগে। অর্থনীতি মহলের বক্তব্য, যথেষ্ট পরিমাণে ডলার না থাকলে সব থেকে বেশি সমস্যা হবে অশোধিত তেল, শিল্পের কাঁচামাল-সহ বিভিন্ন জরুরি পণ্য আমদানিতে। যা ১৯৯০ সালে দেখা গিয়েছিল। ডলার বেচে টাকার দাম ধরে রাখার চেষ্টা কতটা ফল দেবে, তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। তাঁদের বক্তব্য, বিশ্ব জুড়ে ডলারের চাহিদা বাড়লে, তার দাম বাড়বেই। কোনও দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের পক্ষেই তা রোখা সম্ভব নয়।
বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার কমে যাওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে এ নিয়ে জবাব চেয়েছেন নবনির্বাচিত কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy