—প্রতীকী ছবি।
কালীপুজোর দিনে ডলারের নিরিখে ফের পড়ল টাকার দাম। বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর এতে রেকর্ড পতন দেখা গিয়েছে। এ দিন এক ডলারের দাম দাঁড়িয়েছে ৮৪.০৯২৫ টাকা। আগে একবার ডলারের নিরিখে ৮৪.০৯০০-তে নেমে গিয়েছিল টাকা। সেটাই ছিল সর্বোচ্চ পতন।
টাকার দাম কমার মূল কারণ হিসেবে ক্রমাগত শেয়ার বাজারের খারাপ ফলাফলকে দায়ী করা হয়েছে। নভেম্বরের ৫ তারিখে আমেরিকায় রয়েছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। যা বাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এরই প্রভাবে টাকার অবমূল্যায়ণ হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বেসরকারি ব্যাঙ্কের স্টকের এক বিনিয়োগকারী বলেছেন, ‘‘গত কয়েকটা সেশন ধরেই টাকার দাম কমছিল। এ দিন সেই ধারা অব্যাহত থেকেছে। এই পতন ঠেকাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, টাকার দামের উপর কখনই নিয়ন্ত্রণ হারাতে চাইবে না কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।’’
টাকার মূল্য হ্রাস নিশ্চিত করতে গত দু’সপ্তাহ ধরে ক্রমাগত ডলার বিক্রি করেছে আরবিআই। ফলে এশিয়ার অন্য দেশগুলির তুলনায় ডলারের নিরিখে ভাল ফল করেছে ভারতীয় টাকা। শেষ এক মাসে অন্য দেশগুলির টাকার দাম পড়েছে এক শতাংশ। সেখানে ভারতীয় টাকার পতন তুলনামূলক কম হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, রিপাবলিকান প্রার্থী তথা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ফের আমেরিকার কুর্সিতে বসলে ডলার শক্তিশালী হতে পারে। সে ক্ষেত্রে এশিয়ার দেশগুলির টাকার দাম আরও পড়বে। অন্য দিকে ভারতীয় শেয়ার বাজার থেকে বিদেশি লগ্নিকারীরা মুখ ফেরাচ্ছেন। অক্টোবরে ১ হাজার ১০০ কোটি ডলার এ দেশের স্টক বাজার থেকে তুলে নিয়েছেন তাঁরা। এদের একটা বড় অংশ চিনের শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করছেন। এই পরিস্থিতির বদল না হলে টাকার দামের উন্নতি হওয়া সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy