ফাইল চিত্র।
আগামী ২০ বছরে দেশে জ্বালানির চাহিদা প্রায় দ্বিগুণ বাড়ার পূর্বাভাস। আর সে দিকে তাকিয়ে শোধনাগারের ক্ষমতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা। শুক্রবার বার্ষিক সভায় ভবিষ্যতের এই রাস্তাই দেখাল রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা ইন্ডিয়ান অয়েল (আইওসি)। সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে ঘোষণা করল চার-পাঁচ বছরে প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকা লগ্নির কথা। সংস্থার চেয়ারম্যান শ্রীকান্ত মাধব বৈদ্যের দাবি, বিকল্প জ্বালানির ব্যবসাও বাড়ানো হবে।
তেলের চাহিদার ৮৫% আমদানি করে ভারত। খরচ বাঁচাতে মোদী সরকার বার বার সেই আমদানি নির্ভরতা কমাতে বলছে। জোর দিচ্ছে পেট্রল-ডিজ়েলের বদলে পুরোদস্তুর বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহারে। সম্প্রতি গাড়ি সংস্থা এবং যন্ত্রাংশ শিল্পের দুই সংগঠনের বার্ষিক সভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও নীতি আয়োগের শীর্ষ কর্তারা বিকল্প শক্তিতে জোর দিয়েছেন। বিদ্যুৎমন্ত্রী আর কে সিংহ-ও সমস্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি পাঠিয়ে আর্জি জানিয়েছেন, সরকারি কাজে যেন বৈদ্যুতিক গাড়িই ব্যবহার করা হয়।
এই পরিস্থিতিতে জীবাশ্ম জ্বালানির সঙ্গে বিকল্প এবং অপ্রচলিত শক্তিতেও গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছে আইওসি। গাড়ির জন্য প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি, এলএনজি), বড় বাসের জন্য হাইড্রোজেন নির্ভর সিএনজি, জৈব জ্বালানি, বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য অ্যালুমিনিয়াম নির্ভর ব্যাটারি তৈরির প্রকল্পে কাজ চলবে। মথুরার শোধনাগারেই দেশের প্রথম ‘গ্রিন হাইড্রোজেন’ কেন্দ্র চালু করবে তারা।
শ্রীকান্ত বলেন, বিভিন্ন পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে ভারতে জ্বালানির চাহিদা বার্ষিক ২৫ কোটি টন থেকে ৪০-৪৫ কোটি টনে পৌঁছবে। তা মেটাতে সব ধরনের জ্বালানিই এক সঙ্গে বাজারে থাকতে পারবে। তাই শোধনাগারের উৎপাদন ক্ষমতা ২.৫ কোটি বাড়াচ্ছেন। ১১টি শোধনাগারের মোট উৎপাদন ক্ষমতা ৮.১২ কোটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy