প্রতীকী ছবি।
লকডাউনের সময়ে বাতিল হওয়া উড়ানের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে দেশ জুড়ে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। এর মাঝেই বুধবার বিভিন্ন উড়ান সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে বৃহস্পতিবার বিমান মন্ত্রক জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফার লকডাউনের সময়ে (১৫ এপ্রিল থেকে ৩ মে-র মধ্যে) বাতিল অভ্যন্তরীণ ও দেশীয় উড়ান সংস্থার আন্তর্জাতিক উড়ানের টিকিটের পুরো টাকা ফেরত পাওয়া যাবে। তবে, সেই টিকিট প্রথম লকডাউনের সময়ে (২৫ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে) কাটা হতে হবে বলে শর্ত দিয়েছে মন্ত্রক।
কিন্তু এই ঘোষণার পরেই উঠেছে প্রশ্ন, প্রথম লকডাউনের সময়ে বাতিল হওয়া উড়ানের ক্ষেত্রে যাত্রীদের টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে মন্ত্রক কিছু জানালো না কেন? যাঁরা প্রথম লকডাউনের আগে, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারিতে ২৫ মার্চ থেকে ৩ মে-র মধ্যে সফরের টিকিট কেটেছিলেন, তাঁরাই বা কেন এই সুবিধা পাবেন না?
তবে ১৫ থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে প্রায় ৯২ লক্ষ যাত্রীর কাটা ট্রেনের টিকিটের ৭২৫ কোটি টাকা ফেরাচ্ছে রেল। সূত্রের খবর, ৩০ এপ্রিল থেকে ৩ মে-র মধ্যে সারা দেশে প্রায় ১৩ লক্ষ যাত্রী টিকিট কেটেছিলেন। সেই টাকাও রেলকে ফেরাতে হচ্ছে। ৩ মে পর্যন্ত যে কোথাও ট্রেন চলার সম্ভাবনা নেই, তা-ও স্পষ্ট জানিয়েছে রেল।
এ দিন বিমান মন্ত্রকের নির্দেশিকা নিয়ে অবশ্য ধোঁয়াশার অভিযোগ তুলেছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। যেখানে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় দফার লকডাউনে বাতিল টিকিটের দাম তিন সপ্তাহের মধ্যে ফেরত দিতে হবে। ওই অংশের ক্ষোভ, নিয়ম অনুযায়ী যেখানে ক্রেডিট কার্ডে কাটা টিকিটের দাম এক সপ্তাহের মধ্যে উড়ান সংস্থার ফেরত দেওয়ার কথা, সেখানে কেন তিন সপ্তাহ? শুধু তা-ই নয় একাংশের প্রশ্ন, এত হইচই এবং গোলমালের পরেও কেন ৪ মে থেকে উড়ান টিকিটের বুকিং নেওয়া হচ্ছে? লকডাউন উঠে যাওয়া নিয়ে সরকারই যেখানে নিশ্চিত নয়, সেখানে কী ভাবে বিমান সংস্থাগুলিকে এ ভাবে বাজার থেকে টাকা তোলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে? এর আগে ১৫ এপ্রিল থেকে টিকিট বুক করা নিয়েও সমালোচনার মুখে পড়ে বেসরকারি উড়ান সংস্থাগুলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy