প্রতীকী চিত্র
আর্থিক সঙ্কট, সুষ্ঠু পরিষেবা না-মেলা, স্পেকট্রামের অভাবে ৪জি পরিষেবা চালু না-হওয়া-সহ নানা কারণে সংশয়ের মুখে পড়েছিল বিএসএনএলের শাখা ক্যালকাটা টেলিফোন্সও (ক্যাল-টেল)। পুনরুজ্জীবন প্রকল্পের পরে কর্মী সংখ্যা প্রায় অর্ধেক হওয়ায় এবং মেরামতির নতুন নিয়ম চালুতে জট বাধায় সংস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় আরও বাড়ে। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, এই অবস্থার মধ্যেও গ্রাহক পরিষেবার খোলনলচে বদলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ক্যাল-টেল। উন্নতি হচ্ছে আর্থিক অবস্থার।
আগের নিয়মে খারাপ ল্যান্ডলাইন সারানোর নির্দিষ্ট সময় না-থাকায় ভোগান্তি হত গ্রাহকের। সময় বেঁধে কাজের নিয়ম চালু হলেও ক্যাল-টেল এলাকায় ঠিকাকর্মীদের বকেয়া বেতন নিয়ে জট বাঁধায় বিপুল বাড়ে অকেজো ল্যান্ডলাইন। ক্যাল-টেলের সিজিএম বিশ্বজিৎ পালের দাবি, এখন সর্বত্রই নতুন নিয়মে কাজ শুরু হয়েছে। ছুটির দিন ও রবিবারেও লাইন মেরামতি হচ্ছে। সহযোগিতা করছে কর্মী ইউনিয়গুলি। হাতে রয়েছে ঠিকাকর্মীদের বকেয়া বেতনের টাকাও।
আবার ল্যান্ডলাইন, ফাইবার দিয়ে ইন্টারনেট, লিজ় লাইনের নেটওয়ার্কে ত্রুটি হলে অফিসের কাজের সময়ই শুধু খতিয়ে দেখা হত। এখন ২৪ ঘণ্টার নজরদারির জন্য চালু হয়েছে বিশেষ কেন্দ্র। কর্তাদের দাবি, এতে গোলমাল হলেই সংশ্লিষ্ট বিভাগের নজরে আনা হচ্ছে। মেরামতির জন্য আর অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। কোনও কারণে ঘটনার দিন সারানো না-গেলেও ত্রুটি সম্পর্কে আগাম ধারণা থাকায় পরের দিন দ্রুত মেরামতি হচ্ছে। লাইন সারানোর জন্য সার্বিক ভাবে ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিয়োর’ তৈরি করতে কমিটিও গড়া হয়েছে।
সংস্থার দাবি, এক বছরের বেশি বিল বকেয়া থাকলে এককালীন টাকা দিয়ে তার নিষ্পত্তির প্রকল্প এনেছেন তাঁরা। ফলে সংস্থার ঘরে বকেয়া অর্থ আসছে। গ্রাহক সন্তুষ্টিও বাড়ছে। সব মিলিয়ে ২০২০-২১ সালের প্রথমার্ধে কর, সুদ ইত্যাদি মেটানোর আগে আয় হয়েছে ১৫.৯০ কোটি টাকা। তার আগের বছরে ওই হিসেবে আয় ছিল শূন্যের ১৯১.৪ কোটি টাকা নীচে। অর্থাৎ, সংস্থা চালিয়ে আয় তো হয়ইনি। উল্টে খরচ ছিল বেশি। এই সুষ্ঠু পরিষেবা ভবিষ্যতেও থাকে কি না, গ্রাহকের নজর সে দিকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy