প্রতীকী ছবি।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশে টানা বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ফের লকডাউন হবে কি না, তা নিয়ে তৈরি হচ্ছে জল্পনা। তবে এই অনিশ্চয়তার মধ্যেই জানুয়ারি-মার্চে আবাসন শিল্পের পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির আশা দেখছে উপদেষ্টা সংস্থা অ্যানারক। তাদের পূর্বাভাস, আগের বছরের তুলনায় এ বারে ওই ত্রৈমাসিকে কলকাতা-সহ সাতটি বড় শহরে আবাসন বিক্রি ৭% বাড়বে। কলকাতায় বাড়বে ১০%। সব চেয়ে বেশি ৫৩% বিক্রি হবে মুম্বই মেট্রোপলিটন এলাকা ও পুণেতে। আর বিক্রি বিৃদ্ধির হারে এগিয়ে হায়দরাবাদ (৬৪%) বাড়তে পারে।
অতিমারির আগে থেকেই চাহিদার অভাবে ভুগছিল আবাসন ক্ষেত্র। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছিল করোনার নেতিবাচক প্রভাব। তৈরি হয়েও যেমন অনেক ফ্ল্যাট-বাড়ি বিক্রি না-হয়ে পড়েছিল, তেমনই থমকে গিয়েছিল নতুন প্রকল্পও। চাহিদা বাড়াতে শেষ পর্যন্ত পদক্ষেপ করে কেন্দ্র। স্ট্যাম্প ডিউটি হ্রাস-সহ ক্রেতাকে আর্থিক সুবিধা দেওয়ার কথা জানায় মহারাষ্ট্রের মতো কিছু রাজ্য। ব্যাঙ্কগুলিও সুদ কমায়। অ্যানারকের চেয়ারম্যান অনুজ পুরীর মতে, এ সবই আবাসন শিল্পে চাহিদা ফেরাতে অনুঘটকের কাজ করেছে। সংস্থার মতে, ওই সাত শহরে ২০২০ সালের জানুয়ারি-মার্চে ৪৫,২০০টি আবাসন বিক্রি হয়েছিল। এ বার ৫৮,২৯০টি হবে।
কলকাতার বাজার সম্পর্কে আশাবাদী বেঙ্গল পিয়ারলেসের সিইও কেতন সেনগুপ্তও। চলতি অর্থবর্ষে আবাসন বিক্রি ৩৪% কমবে বলে ইন্ডিয়া রেটিংসের পূর্বাভাসের সঙ্গেও তিনি সহমত নন। তাঁর দাবি, তুলনায় কম বা মাঝারি দামের ফ্ল্যাটের বিক্রি হয় করোনার আগের সময়ের কাছাকাছি পৌঁছেছে, নয়তো কিছু ক্ষেত্রে বেশিও হয়েছে। তবে দামি আবাসনের ক্ষেত্রে ছবিটা তত ভাল নয়। একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ভ্যাকসিন প্রয়োগ চালু হওয়াও এই ক্ষেত্রের পক্ষে আশাব্যঞ্জক। সেই সঙ্গে আগামী দিনে লগ্নি এবং বাড়ি থেকে কাজের কারণে বেশি জায়গায় প্রয়োজন আবাসনের চাহিদা বাড়াতে সাহায্য করবে বলে তাঁর দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy