চলতি বছরে পর পর দু’বার সুদের হার হ্রাস করেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। ফলে ছ’শতাংশে নেমে এসেছে রেপো রেট। এর প্রভাবে বাড়ি এবং গাড়ির ঋণে মাসিক কিস্তি কমার রয়েছে সম্ভাবনা। পাশাপাশি ঋণের মেয়াদ হ্রাসের বিকল্পটিও বেছে নেওয়ার থাকবে সুযোগ। দু’টির মধ্যে কোনটিতে বেশি লাভবান হবেন গ্রাহক? আনন্দবাজার ডট কমের এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।
আরবিআইয়ের রেপো রেট হ্রাসের জেরে ব্যাঙ্ক ঋণে সুদের হার কমলেও মাসিক কিস্তিতে কোনও বদল করেন না গ্রাহকদের একাংশ। এতে দ্রুত ঋণমুক্ত হওয়ার সুযোগ পান তাঁরা। অন্য দিকে, সুদের হার কমায় মাসিক কিস্তি বদল করলে অপরিবর্তিত থাকবে ঋণের মেয়াদ। কিন্তু প্রতি মাসে কিছু অর্থ সঞ্চয়ের সুযোগ পাবেন ওই গ্রাহক।
একটি উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টি বুঝে নেওয়া যেতে পারে। ধরা যাক, কোনও ব্যক্তি ব্যাঙ্ক থেকে ৪০ লক্ষ টাকার গৃহঋণ নিয়েছেন। ২০ বছরের মেয়াদে ওই অর্থ পরিশোধ করতে হবে তাঁকে। সুদের হার ৮.২৫ শতাংশ হলে মাসিক কিস্তিতে তাঁকে দিতে হবে ৩৪ হাজার ৭১৩ টাকা।
কিন্তু, আরবিআই রেপো রেট হ্রাস করায় সুদের হার আট শতাংশে নেমে এলে মাসিক কিস্তির পরিমাণ দাঁড়াবে ৩৩ হাজার ৪৫৮ টাকা। অর্থাৎ প্রতি মাসে ওই ব্যক্তি ১,২৫৫ টাকা করে সঞ্চয় করতে পারবেন। এই হিসাবে ২০ বছরে সুদ থেকে তাঁর মোট সঞ্চয়ের অঙ্ক হবে তিন লক্ষ টাকার বেশি।
তবে গ্রাহক যদি মাসিক কিস্তিতে কোনও বদল না করেন, তা হলে গৃহঋণের মেয়াদ কমে ১৮ বছর তিন মাসের কাছাকাছি হবে। সে ক্ষেত্রে ২০ মাস আগেই ঋণমুক্ত হবেন ওই ব্যক্তি। এই সময়সীমার মধ্যে তাঁকে গৃহঋণের সুদ বাবদ দিতে হত ৬.৯৩ লক্ষ টাকা। সেই অর্থের পুরোটাই সঞ্চয় করতে পারবেন তিনি।
এখানে উল্লেখ্য, দু’টি পদ্ধতিতে গৃহঋণ দিয়ে থাকে রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি ব্যাঙ্ক। একটি স্থায়ী এবং অপরটি ভাসমান সুদ। আরবিআইয়ের রেপো রেটের সঙ্গে দ্বিতীয়টি সম্পৃক্ত। ফলে কেবলমাত্র ভাসমান সুদের গৃহঋণের গ্রাহকরাই এই আর্থিক সুবিধা পাবেন, অন্যেরা নয়।