চলতি মাসেই রেপো রেট কমিয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা আরবিআই। ফলে গাড়ি ও বাড়ির ঋণে সুদের হার কমার আশায় দিন গুনছিল আমজনতা। কিন্তু দেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারি ব্যাঙ্কে দেখা গেল উলটপুরাণ। সুদের হার কমা তো দূরে থাক, উল্টে তা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছে এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক। বলা বাহুল্য, এর জেরে ঋণ গ্রহণকারীদের বাড়বে মাসিক কিস্তির অঙ্ক।
সম্প্রতি তহবিল-ভিত্তিক ঋণের হারের প্রান্তিক খরচ (মার্জিনাল কস্ট অফ ফান্ডস-বেস্ড লেন্ডিং রেট বা এমসিএলআর) বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করে এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। এটি ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ফলে রাতারাতি (ওভারনাইট) শ্রেণির ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার ৯.১৫ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.২০ শতাংশ। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর করেছে এইচডিএফসি কর্তৃপক্ষ। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ওই দিনই রেপো রেট কমানোর কথা ঘোষণা করেন আরবিআইয়ের গভর্নর সঞ্জয় মলহোত্র।
কোনও নির্দিষ্ট ঋণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান যে ন্যূনতম সুদের হার ধার্য করে অর্থনীতির পরিভাষায় তাকেই বলে এমসিএলআর। আরবিআইয়ের রেপো রেটের সঙ্গে এটি পুরোপুরি সম্পৃক্ত। সাধারণ ভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক রেপো রেট হ্রাস করলেই কমে এমসিএলআর। এ ক্ষেত্রে বিপরীত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ অবশ্য জানায়নি এইচডিএফসি কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, এমসিএলআর বৃদ্ধির প্রভাব শুধুমাত্র রাতারাতি শ্রেণির ঋণের ক্ষেত্রেই পড়বে বলে স্পষ্ট করেছে দেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারি ব্যাঙ্ক। এক মাস, তিন মাস, ছ’মাস, এক বছর, দু’বছর বা তিন বছরের ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হারের কোনও পরিবর্তন করেনি এইচডিএফসি কর্তৃপক্ষ। আর্থিক বিশ্লেষকদের দাবি, এই এমসিএলআর বৃদ্ধির জেরে ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রেও বাড়বে মাসিক কিস্তির অঙ্ক।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, পাঁচ বছর পর রেপো রেট বদল করেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। এটি কমেছে ২৫ বেসিস পয়েন্ট। ফলে রেপো রেট ৬.৫০ শতাংশ থেকে ৬.২৫ শতাংশে নেমে এসেছে। রেপো রেট হ্রাসের ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি স্থায়ী আমানতে সুদের হার কমাবে বলে মনে করছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।