ভারতের বাজারে আসতে চলেছে এই ই-বাইক। ছবি:হার্লে ডেভিডসনের ওয়েবসাইট থেকে।
ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলের বাজারে এবার পা রাখতে চলেছে হার্লে-ডেভিডসন। ২০২০ সালের মধ্যে 'লাইভওয়্যার' নামে এই ইলেকট্রিক ক্রুজার বাইকটি বাজারে আসতে পারে বলে ইঙ্গিত এই আন্তর্জাতিক বাইক প্রস্তুতকারক সংস্থাটি।
২০১৮ সালে ইআইসিএমএতে এবং ২০১৯ সালে কনজিউমার ইলেক্ট্রনিক ফোরামে এই বাইকটির প্রথম ঝলক দেখা গেলেও ভারতের বাজারে কখন আসবে তা জানানো হয়নি। মার্কিন এই সংস্থাটি বাজারে আগেই জানিয়েছিল, তাদের প্রথম ইলেক্ট্রনিক মডেলের অর্ডার আগে থেকেই নেওয়া হবে। হার্লে-ডেভিডসনের এই মডেলটির দাম ধার্য হয়েছে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় পায় ২০.৫৬ লক্ষ টাকা।
এই ই-বাইকটিতে রয়েছে নতুন ধরনের ইঞ্জিন। হার্লে-ডেভিডসন এই নতুন ইঞ্জিনের নাম রেখেছে 'রেভেলেশন'। এছাড়াও এই বাইকে রয়েছে নানা নতুন অত্যাধুনিক ফিচার্স। বাইকের এইচ-ডি কানেক্ট-এর মাধ্যমে চালক বাইকটির ব্যাটারির চার্জ, সার্ভিসিংয়ের সময় সবই জানতে পারবেন হার্লে-ডেভিডসনের নিজস্ব অ্যাপের মাধ্যমে। এই বাইকটিই প্রথম সেলুলার কানেক্টেড ইলেকট্রিক বাইক।
এই বাইকটির সর্বোচ্চ গতি ১৭৭ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। এছাড়াও বাইকটি শূন্য থেকে ১০০ কিলোমিটারে পৌঁছতে পারে মাত্র ৩.৫ সেকেন্ডে। বাইকটিতে থাকছে ট্রাকশন কন্ট্রোল এবং এবিএসের মত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। স্টিল ফ্রেম বাইকটির ঝাঁ চকচকে লুক আর মনোশক সাসপেনশন বাইকটিতে এনেছে স্বাছন্দ্য। বাইকটিতে রয়েছে বিভিন্ন রাইডার মোডস, ব্লুটুথের সুবিধা এবং কালার টিএফটি মনিটর। এছাড়াও বাইকটির অ্যাক্সিলারেটরে চাপ দিলেই পাওয়া যাবে হার্লে-ডেভিডসনের ইঞ্জিনের গর্জন।
আরও পড়ুন: ভারতের বাজারে নামছে চিনা সংস্থার বাইক
বহুকাল ধরেই হার্লে-ডেভিডসনের নানা মডেল বাইকপ্রেমীদের কাছে জনপ্রিয় হয়েছে। এই বাইকটি ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলের দুনিয়া বদলে দেবে বলে দাবি এই বাইক প্রস্তুতকারী সংস্থাটির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy