—ফাইল চিত্র।
ভারতীয়দের মগজের চাহিদা বিদেশের বাজারে চিরকালই ভাল। কিন্তু চুলেরও যে এত চাহিদা তা ঠিক এই ভাবে জানা ছিল না। সম্প্রতি প্রকাশিত কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, চুল কাটার পর তা ফেলে না দিয়ে গুছিয়ে রেখে, তা আবার বিক্রি করে হয়ত নতুন রোজগারের পথও পাওয়া যেতে পারে। ঠিক যে ভাবে পুরনো খবরের কাগজ বিক্রি করি আমরা!
তথ্য বলছে ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে চুল রফতানি করে এই খাতে দেশের আয় বেড়েছে প্রায় ৪৫ শতাংশ! আয় হয়েছে দু’হাজার ৭৩৫ কোটি টাকারও বেশি। রফতানির পরিমাণ ওজনের হিসাবে মাত্র ৩৯ শতাংশ বাড়লেও, কোভিডের কারণে বিশ্ব বাজারে চুলের জোগান কমায় বাজারে দাম হইহই করে বেড়েছে। আর তারই লাভ তুলেছে ভারত। আর মজার ব্যাপার হল বিশ্বের যে পাঁচটি দেশ আমাদের থেকে সব থেকে বেশি চুল কেনে তাদের শীর্ষে রয়েছে চিন। চিন যত চুল আমদানি করে তার ৬০ শতাংশ যায় ভারত থেকে!
ভারতে চুল সরবরাহের অন্যতম কেন্দ্র হল আমাদের মন্দিরগুলো। আর এ বারই নাকি অন্ধ্রের ভেঙ্কটেশ্বর মন্দির চুল সরবরাহে শীর্ষ স্থানের দাবিদার। আর মেয়েদের চুলের দাম ছেলেদের থেকে বহুগুণ বেশি! ছেলেদের চুল কুচো চুলের গোত্রে পড়ে। আর মেয়েদের চুল যেহেতু লম্বা হয়, আর কাটলে লম্বা গোছ পাওয়া যায়, তাই মেয়েদের চুলের দাম ছেলেদের চুলের থেকে অনেক বেশি।
তবে কাটা চুলের থেকেও বেশি দাম হল ‘রেমি’ চুলের। মাথা থেকে সরাসরি তুলে নেওয়া চুলকে রেমি চুল বলা হয়। এই চুলকে প্রক্রিয়াকরণের পরে তা দিয়ে যখন উইগ বা পরচুলা বানানো হয় তা নাকি নকল বলে চেনাই যায় না। মজার কথা হল, ভারতে কিন্তু আমরা চুল প্রক্রিয়াকরণ করে পরচুলা বানানোর রাস্তায় হাঁটি না। আমরা কাঁচা চুলকে প্রাথমিক প্রক্রিয়াকরণ করে রফতানি করে থাকি। বিভিন্ন দেশ তাদের প্রয়োজন তাতে রঙ করে নিজেদের দেশের চাহিদা মাফিক পরচুলা বানিয়ে নেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy