Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ঝুঁকির পথের গাইডবুক

শেয়ার বাজারে পা রাখতে চান। অথচ চেনেন না তার অলিগলি। তড়িঘড়ি আয়ের আশায় হঠকারী পদক্ষেপ কিন্তু একেবারে নয়। আগে শিখুন সেই রাস্তায় চলার কৌশল। লিখছেন শৈবাল বিশ্বাস শেয়ার বাজারে পা রাখতে চান। অথচ চেনেন না তার অলিগলি। তড়িঘড়ি আয়ের আশায় হঠকারী পদক্ষেপ কিন্তু একেবারে নয়। আগে শিখুন সেই রাস্তায় চলার কৌশল।

শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৯ ২২:৪৯
Share: Save:

স্টক মার্কেটে পুঁজির চার ফেললেই কি ধরা দেয় আয়? কেউ কেউ তেমনটা ভাবলেও ব্যাপারটা কিন্তু আদৌ তা নয়। অন্যান্য সঞ্চয় কিংবা লগ্নি প্রকল্পের যেমন ব্যাকরণ আছে, শেয়ার বাজারও তার ব্যতিক্রম নয়। আবার অনেকে ভাবতে পারেন, শেয়ারের লগ্নি বুঝি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মতো। ব্যাট চালাতে হবে বেপরোয়া ভাবে। এই ধারণার মধ্যেও কিন্তু অস্বচ্ছতা প্রবল। এটা ঠিক যে, অন্যান্য লগ্নি প্রকল্পের তুলনায় সরাসরি শেয়ারে লগ্নির ঝুঁকি বেশি। আর ঠিক সে কারণেই এই পথে পা বাড়ানোর আগে এক বার চোখ বুলিয়ে নিতে হবে কী করা উচিত, আর কী নয়। আজ তা নিয়েই কিছু কথা।

শেয়ার ব্যাকরণ

শুরুতেই বলে রাখি, শেয়ার বাজারে লগ্নি করার জন্য কিছু মূল নীতি মেনে এগোনো উচিত। শেয়ার বাজারের অলিগলি এমনিতেই জটিল। এই পথে নতুন পা-রাখা সাধারণ লগ্নিকারীদের পক্ষে তো আরওই। এ বার তাই সেই নীতির অ-আ-ক-খ...

প্রাথমিক শিক্ষা

ভয় পাবেন না। প্রথাগত কোনও শিক্ষা বা শেয়ার বাজার সংক্রান্ত পেশাদারি কোর্সের কথা বলছি না। হাতে নেওয়ার দরকার নেই খটোমটো কোনও বইও। শেয়ার সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান আয়ত্ত করার জন্য আপনার ডেক্সটপ বা ল্যাপটপে ইন্টারনেট সংযোগই যথেষ্ট। তা ছাড়া হাতে স্মার্টফোন তো আছেই। ইন্টারনেটে শেয়ার বাজারের উপরে বিপুল তথ্যভাণ্ডার রয়েছে। একেবারে নিখরচায় তা পেয়ে যাবেন মুঠোর মধ্যে। তবে হ্যাঁ, আপনি যদি নিজের উদ্যোগেই বাড়তি কিছুটা এগিয়ে থাকতে চান, তা হলে স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ সংক্রান্ত অনলাইন কোর্সে যোগ দিতেই পারেন। সাহায্য নিতে পারেন বিনিয়োগ পরামর্শদাতারও।

সংস্থার খুঁটিনাটি

উড়ো কথা শুনে পরিশ্রমের টাকা চোখ বুঁজে কোনও শেয়ারে খাটিয়ে দেওয়া এই ধরনের লগ্নি ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় ভুল। তাই পুঁজি ঢালার আগে সংস্থা সম্পর্কে খুঁটিনাটি কিছু তথ্য সংগ্রহ করা দরকার। যেমন, সংস্থাটি কোন ক্ষেত্রে ব্যবসা করে, সেই ক্ষেত্রের অবস্থা এখন কেমন, সংস্থার আর্থিক পরিস্থিতি, অতীতে সংস্থাটি এবং তার শেয়ার কেমন ফলাফল করেছে ইত্যাদি। খুব কঠিন নয়। সংস্থা এবং স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটেই এই তথ্য পাওয়া সম্ভব। সামান্য এই সময় এবং পরিশ্রমটুকু না দেওয়ার জন্য কিন্তু বহু লগ্নিকারীকে পস্তাতে হয়।

ছোট দিয়ে শুরু

ধরা যাক সাঁতার শিখতে চান। ভর্তি হলেন সুইমিং ক্লাবে। আপনার সামনে ২৫ মিটার লম্বা, ১০ মিটার চওড়া সুইমিং পুল। এক দিকে জলের গভীরতা চার ফুট। অন্য দিকের জমি আট ফুট নীচে। পুলের কোন দিকে দাঁড়াবেন আপনি? বেশি গভীরতার দিকে নয় নিশ্চয়ই! প্রথমে প্রশিক্ষক আপনাকে শেখাবেন কী ভাবে জলে ভাসতে হয়। ওই চার ফুটের দিকেই। শেয়ার বাজারে লগ্নির ক্ষেত্রেও কিন্তু ব্যাপারটা একই রকম। শুরুতে লগ্নি করতে হবে অল্প টাকা। জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও আত্মবিশ্বাস বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে লগ্নির অঙ্ক।

শুভস্য শীঘ্রম

এই ব্যাপারটা যে কোনও সঞ্চয়ের ক্ষেত্রেই জরুরি। যত আগে লগ্নি শুরু করবেন সুবিধা তত বেশি। সুদ নির্ভর লগ্নির ক্ষেত্রে যেমন চক্রবৃদ্ধির ম্যাজিকে বেশি সময়ে বড় তহবিল তৈরির সুযোগ রয়েছে, ঠিক তেমনই শেয়ারে লগ্নির প্রথম দিকে কিছু আর্থিক ক্ষতি হলেও আপনার সামনে থাকবে তাকে পুষিয়ে নেওয়ার জন্য হাতে পর্যাপ্ত সময়। কোনও ভাল সংস্থার শেয়ারের দাম যদি হঠাৎ অনেকটা নামে, তা হলেও সেই কম দামে আরও কিছু শেয়ার কিনে ভবিষ্যতে মুনাফা গোনার সুযোগও পাবেন। তবে প্রশ্ন হল শেয়ার নামছে কেন? সংস্থার ব্যবসা চালানোই কঠিন হয়ে যায়নি তো? সেটা হলে কিন্তু ওই শেয়ার হাতে না রাখাই ভাল।

উদ্বৃত্তেই বিনিয়োগ

সময় হাতে নিয়ে, তথ্য জেনে ধীরেসুস্থে লগ্নি করলে শেয়ার বাজার থেকে আয়ের সুযোগ যথেষ্ট। কিন্তু নতুন পথে যখন পা রাখছি, তখন প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে ঝুঁকির দিকগুলি। শেয়ার বাজারে ওঠানামা থাকেই। কিন্তু লগ্নিকারী সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন অর্থনীতির মন্দগতির সময়ে। অনেক ক্ষেত্রে বাজারের ঘুরে দাঁড়াতে একাধিক বছরও লেগে যেতে পারে। সে কারণেই পরিবারের খরচ, অন্যান্য সঞ্চয় ও লগ্নির অর্থ সরিয়ে রেখে উদ্বৃত্ত টাকাই বিনিয়োগ করা উচিত শেয়ার বাজারে। জীবনযাপন এবং অন্যান্য লক্ষ্যপূরণ যাতে ব্যাহত না হয়।

অবিচল লক্ষ্য

পরিকল্পনার বিকল্প নেই। সুদ নির্ভর লগ্নি কিংবা সঞ্চয়ের সময়ে তো আমরা উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করি! শেয়ারে লগ্নিতেও যেন এর ব্যতিক্রম না হয়। উদাহরণ হিসেবেই ধরা যাক, শেয়ার বাজার থেকে ১০ বছরে ১০ লক্ষ টাকার একটি তহবিল তৈরি করতে চাইছেন আপনি। এই ধরনের লক্ষ্যমাত্রা থাকলে লগ্নির হিসেব কষতেও সুবিধা হয়।

পোর্টফোলিও তৈরি

বাজার করার সময়ে চোখ বুঁজে আনাজ তুলে নেন না নিশ্চয়ই! বেছেই কেনেন, তাই না! কেন ওই ভাবে কেনেন? কারণ, কোনও সময়েই ঝুড়ির সবকটি আনাজ টাটকা হয় না। আবার বাজার করার সময়ে মাত্র এক ধরনের আনাজও নিশ্চয়ই আমরা কিনি না? পোর্টফোলিও তৈরিও তেমনই ব্যাপার।

চোখ বন্ধ করে শেয়ার কেনা যেমন ঠিক নয়, তেমনই হাতে গোনা দু’তিনটি সংস্থার শেয়ার নিয়েও পোর্টফোলিও তৈরি হয় না। তাতে ঝুঁকি বাড়ে। পোর্টফোলিও তৈরি হওয়া উচিত বিভিন্ন ক্ষেত্রের অন্তত আট-দশটি স্টক নিয়ে। এটা ঠিক যে, লগ্নির শুরু থেকেই এটা করা সম্ভব নয়। আবার এক বারে যাবতীয় ভাল স্টক বাছাই করাও কার্যত অসম্ভব। তবে ধীরে ধীরে ভাল শেয়ার বাছাই করে কয়েক বছর ধরে শক্তিশালী পোর্টফোলিও তৈরি করা যায়। লাভজনক সংস্থাগুলি বছরে এক বা একাধিক বার শেয়ারহোল্ডারদের হাতে লভ্যাংশ (ডিভিডেন্ড) তুলে দেয়। সেই ডিভিডেন্ড এবং শেয়ারের দামের উত্থানের মাধ্যমে নিয়মিত আয়ের মুখ দেখা সম্ভব।

দামের খেলা

কোনও একটি স্টকের দাম যখন একেবারে নীচে থাকবে, তখন আপনি কিনবেন। সেই স্টকেরই দাম যখন সবচেয়ে উঁচুতে থাকবে, তখনই বিক্রি করবেন— এই ধরনের তত্ত্ব শুনতে ভাল। কিন্তু বাস্তবে শেয়ার বাজারের অলিগলিতে এই ভাবে পা বাড়ানো বিশেষজ্ঞদের পক্ষেও কঠিন। তাই ওই রাস্তায় যাবেন না। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বারে বারে বিভিন্ন দামে কোনও একটি স্টক কিনতে পারেন। তাতে গড় দাম মোটামুটি কম হয়।

ঝুঁকি কমান

কেন বলা হয় বিভিন্ন ক্ষেত্রের শেয়ার নিয়ে পোর্টফোলিও তৈরি করতে? ধরা যাক আপনি যাবতীয় বিনিয়োগ করে রেখেছেন একটি মাত্র স্টকে। বা একটি ক্ষেত্রের একাধিক স্টকে। অর্থনীতির মন্দ গতিতে সেই ক্ষেত্রেই বড় ধাক্কা লাগল। তখন কিন্তু আপনার সমস্ত বিনিয়োগই ঝুঁকির মুখে। তাই বলা হয়, লগ্নিকে বিভিন্ন ক্ষেত্রের শেয়ারে ছড়িয়ে রাখুন। তাতে ঝুঁকি কমবে।

সবুরের মেওয়া

কেউ কেউ দিনের কেনা শেয়ার দিনেই বিক্রি করেন। কেউ বেচেন স্টকের দাম কিছুটা বাড়লেই। এঁরা নিয়মিত শেয়ার বাজারের ওঠা-পড়ার দিকে খেয়াল রাখেন। আমাদের লক্ষ্য এ রকম নয়। বরং কয়েক বছরে বড় তহবিল তৈরি করা। এর জন্য ধৈর্য ধরতে হবে।

যোগ বিয়োগ

ধরা যাক দীর্ঘ সময় ধরে কোনও একটি স্টক প্রত্যাশা মতো রিটার্ন দিতে পারছে না। আর একটির পারফরম্যান্স হয়তো ভাল। সে ক্ষেত্রে প্রথমটিকে পোর্টফোলিও থেকে বাদ দিতে হবে। দ্বিতীয়টিকে রাখতে হবে দীর্ঘ মেয়াদের জন্য। প্রথমটির জন্য হয়তো পুঁজির কিছু ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু এই ধরনের ঝাড়াই বাছাইয়ের মধ্যে দিয়েই শক্তিশালী পোর্টফোলিও গড়ে ওঠে। ।

ধারাবাহিক লগ্নি

অধিকাংশ সাধারণ লগ্নিকারী হঠাৎ উৎসাহের বশে শেয়ারে টাকা খাটানো শুরু করেন। যখন বাজার থাকে উঁচুতে। কয়েক দিন পরে তাঁদের মধ্যে অনেকেই উৎসাহ হারান। বিশেষ করে যখন বাজারের পরিস্থিতি থাকে টালমাটাল। তাতে আর্থিক ক্ষতি হয়। তাই যখনই শেয়ার বাজারে পা রাখুন না কেন, হাতে থাকা পুরো পুঁজি এক বারে ঢেলে ফেলবেন না। উঠতি-পড়তি বাজারে অল্প অল্প করে লগ্নি করতে থাকুন।

ধৈর্য হারাবেন না

অনেকেরই ধারণা শেয়ার বাজারে টাকা বুঝি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে। বা কমে। বাস্তব কিন্তু এর চেয়ে অনেকটাই আলাদা। অধিকাংশ স্টক থেকেই ভাল রিটার্ন পেতে অন্তত এক-দু’বছর লাগে। শক্তিশালী সংস্থার স্টককে যত সময় দেওয়া যায় রিটার্ন তত বেশি আসে। অতএব আপনার স্টকগুলিকে সময় দিন। অধৈর্য হয়ে তাড়াতাড়ি স্টক বিক্রি করে দেবেন না।

কী করবেন না

একটা ব্যাপার শুরুতেই মাথায় ঢুকিয়ে ফেলতে হবে। অনুমান বা উড়ো খবরের উপরে নির্ভর করে লগ্নি একেবারে নয়। অনুমানের ভিত্তিতে লগ্নি করে অভিজ্ঞ শেয়ার কারবারিদেরও ঘোল খেতে দেখা গিয়েছে। আরও বেশ কিছু ব্যাপার মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। এ বার সেই সম্পর্কেই দু’চার কথা।

ফাটকা

অনেকেই বলেন, শেয়ার বাজার নাকি আসলে ফাটকার জায়গা। লগ্নি করতে গিয়ে যদি এই কথাটা মাথায় ঢুকে যায়, তা হলে কিন্তু শুরুতেই কেলেঙ্কারি। পুঁজি আপনার। ফাটকা খেলতে গিয়ে তা নষ্ট হলে ভুগতে হবে নিজেকেই। আর লগ্নি এবং ফাটকার মধ্যে শত্রুতা বরাবরের। তাই চোখ বুজে শেয়ার কেনা একেবারে নয়।

নিখরচার পরামর্শ

ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খোলার সঙ্গে সঙ্গে আপনি মোবাইলে মেসেজ পেতে শুরু করবেন। কোন স্টকটা কিনলে ভাল, কোনটা বিক্রি করে দেওয়া উচিত। নিখরচায় মিলবে সেই পরামর্শ। ওই ফাঁদে একেবারে পা দেবেন না। এই দুনিয়ায় নিখরচায় কিছু পাওয়া কার্যত অসম্ভব। অচেনা ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তো বটেই।

আরও একটি সমস্যা হয়। ধরা যাক আপনার সহকর্মী কোনও একটি সংস্থার শেয়ার কিনে এক বছরের মধ্যে ৬৭% রিটার্ন পেয়েছেন। তাই শুনে অফিসের সকলেই সেই স্টক কিনতে শুরু করলেন। আপনিও কি সেই স্টক কিনবেন? কিনতেও পারেন। কিন্তু হুজুগে ভেসে একেবারেই নয়। সংস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিন।

অবাস্তব প্রত্যাশা

মেয়াদি আমানতের তুলনায় বেশি রিটার্নের প্রত্যাশাতেই সাধারণ লগ্নিকারীরা শেয়ার বাজারে পা রাখেন। ধৈর্য ধরে সতর্ক ভাবে লগ্নি করলে সেটা অবশ্যই সম্ভব। মোটামুটি শক্তিশালী পোর্টফোলিও হলে বছরে ১২-১৮% পর্যন্তও রিটার্ন পেতে পারেন। কিন্তু শুরু থেকেই বিরাট কিছু প্রত্যাশা করবেন না। হয়তো দেখবেন অনেকেই এর চেয়ে বেশি রিটার্ন ঘরে তুলছেন। কিন্তু তাঁদের বেশিরভাগই বছরের পর বছর ধরে শেয়ার বাজারে লগ্নি করে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন। শুরুতেই তাঁদের সঙ্গে নিজের রিটার্ন কিংবা পোর্টফোলিওর অবস্থার তুলনা করতে যাবেন না। কারণ, শেয়ার বাজারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল দীর্ঘ সময় ধরে সঞ্চয় করা জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা। বাজারে সময় দিলে সেটা আপনারও হতে পারে।

ঘনঘন লেনদেন

আগেই বলেছি, শেয়ারে লগ্নি করতে গেলে ধৈর্য প্রয়োজন। শেয়ার বাজারে হাতেখড়ির শুরু থেকেই অনেকে ঘন ঘন শেয়ার কেনাবেচা করতে থাকেন। এতে ব্রোকারেজ এবং অন্যান্য চার্জ গুনতে হয় বেশি। তাই শেয়ার কেনার আগে একটু সময় নিন। নিশ্চিত সিদ্ধান্ত নিয়ে তবেই শেয়ার কিনুন।

আবেগে ভাসা

ব্র্যান্ডের প্রতি প্রীতি ‘ফ্যাসিনেশন’ বড় ঝক্কির ব্যাপার। এই আবেগে ভর করে ফ্রিজ, টেলিভিশন, মোবাইল ফোন, জামাকাপড় যদিও বা কেনা যায়, শেয়ারে লগ্নি করা কিন্তু একেবারে চলে না। যদি কোনও সংস্থা লাভজনক না হয়, কিংবা ভবিষ্যৎ অস্পষ্ট হয় তাতে লগ্নি নৈব নৈব চ।

অযথা ঝুঁকি

শেয়ারে ঝুঁকি আছে ঠিকই। আমাদের লক্ষ্য থাকবে সেই ঝুঁকিকে যতটা সম্ভব কমানো। কেউ কেউ বেশি রিটার্নের আশায় ঝুঁকিপূর্ণ স্টক বা ক্ষেত্রে লগ্নির পুরো টাকা ঢেলে বসে থাকেন। এতে ভাল রিটার্ন এলে ভাল। কিন্তু সেই ক্ষেত্রে কখনও ধাক্কা লাগলে সর্বনাশ। পুঁজিকে সুরক্ষিত করা কিন্তু ভাল রিটার্ন পাওয়ার সমান গুরুত্বপূর্ণ।

লেখক বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ

মতামত ব্যক্তিগত

অন্য বিষয়গুলি:

Share Market Stock Exchange Investment
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy