প্রতীকী ছবি।
অর্থনীতির গতি বাড়াতে সরকারি খরচ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। বাজেটে বাড়িয়েছে খাদ্যের ভর্তুকিও। ফলে কর সংগ্রহ বৃদ্ধির বাধ্যবাধকতাও কাঁধে চেপে বসছে। এই অবস্থায় মঙ্গল এবং বুধবার চণ্ডীগড়ে জিএসটি পরিষদের ৪৭তম বৈঠক হতে চলেছে। সেখানে কয়েকটি পণ্য এবং পরিষেবায় করের হারে অদল-বদল নিয়ে আলোচনা হবে। প্রায় ছ’মাস পর পরিষদের সদস্যেরা বৈঠকে বসছেন। যদিও সূত্রের খবর, চড়া মূল্যবৃদ্ধির বাজারে খুব বেশি পণ্য ও পরিষেবার কর বৃদ্ধির পক্ষে হাঁটার সম্ভাবনা কম। বরং ঘোড়দৌড়, ক্যাসিনো, অনলাইন গেমিংয়ের কর বাড়িয়ে আয়ের রাস্তা চওড়া করার চেষ্টা হতে পারে।
সম্প্রতি কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিগোষ্ঠী জিএসটির হার সংক্রান্ত সুপারিশ তৈরি করতে বৈঠকে বসে। কিন্তু সেখানে পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্য মত দেয়, মূল্যবৃদ্ধির জেরে সাধারণ মানুষের অবস্থা এখন এমনিতেই নাজেহাল। তাই অন্তত এখনই তাঁদের উপর অতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। সুপারিশ জমা দেওয়ার জন্য জিএসটি পরিষদের কাছে আরও কিছু দিন সময় চেয়েছে তারা। অন্য দিকে, মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার নেতৃত্বাধীন অর্থমন্ত্রীদের কমিটির সুপারিশ, ঘোড়দৌড়, ক্যাসিনো, অনলাইন গেমিংয়ের উপর ২৮% হারে জিএসটি চাপানো হোক। এমনকি, ঘোড়দৌড়ের ক্ষেত্রে কর বসানো হোক খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণের ফি-সহ প্রত্যেকটি আর্থিক লেনদেনের উপর। ক্যাসিনোর ক্ষেত্রেও সেখানে প্রবেশের ফি-এর উপর কর চাপানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এখন এই সমস্ত ক্ষেত্রে ১৮% জিএসটি রয়েছে। সূত্রের খবর, এই প্রস্তাবটি পাশ হতে পারে জিএসটি পরিষদের বৈঠকে।
অন্য দিকে, সরকারি অফিসারদের নিয়ে গঠিত ফিটমেন্ট কমিটিও অন্তত ২১৫টি পণ্য ও পরিষেবার করের হার অপরিবর্তিত রাখতে বলেছে। কৃত্রিম অঙ্গ এবং অস্থি-চিকিৎসার কাজে প্রয়োজনীয় সামগ্রির তা ১২% থেকে কমিয়ে ৫% করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কমিটির রিপোর্টে। রোপওয়ে পরিবহণ জিএসটি নামাতে বলা হয়েছে ৫ শতাংশে। এখন ওই পরিষেবায় ১৮% কর নেওয়া হয়, সঙ্গে রয়েছে কাঁচামালের খরচ বাবদ আগে মেটানো কর ফেরতের সুবিধা। গত সেপ্টেম্বর পরিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাব করেছিল হিমাচলপ্রদেশ। সেই সঙ্গে টেট্রাপ্যাকের কর ১২% থেকে বাড়িয়ে ১৮% করার সুপারিশ করেছে ফিটমেন্ট কমিটি। ব্যাখ্যা দেওয়া হতে পারে বৈদ্যুতিক গাড়ির জিএসটি নিয়ে।
পরিষদের এ বারের বৈঠকে ঝড় উঠতে পারে রাজ্যগুলির ক্ষতিপূরণের মেয়াদের দাবিতে। বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি সেই মেয়াদ তিন বছর বৃদ্ধির দাবি তুলবে বলে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy