—প্রতীকী ছবি।
উৎসবের মরসুমে ফুলে ফেঁপে উঠল সরকারি কোষাগার। অক্টোবরে প্রায় ন’শতাংশ বেড়েছে পণ্য ও পরিষেবা কর বা জিএসটি আদায়ের পরিমাণ। এর নেপথ্যে আমজনতার দেদার কেনাকাটাকেই দায়ী করেছেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা। এই মাসে জিএসটি বাবদ আদায় হয়েছে মোট ১.৮৭ লক্ষ কোটি টাকা। যা চলতি বছরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
গত শুক্রবার (পড়ুন ১ নভেম্বর) এ বছরের অক্টোবরে জিএসটি বাবদ আয়ের যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করেছে সরকার। সেখানে বলা হয়েছে, ওই মাসে সেন্ট্রাল জিএসটি আদায় হয়েছে ৩৩ হাজার ৮২১ কোটি টাকা। আর ৪১ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা রাজ্য জিএসটি বাবদ কোষাগারে এসেছে। ইন্টিগ্রেডেড আই জিএসটি এবং সেস থেকে আয়ের পরিমাণ যথাক্রমে ৯৯ হাজার ১১১ কোটি এবং ১২ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে।
সব মিলিয়ে অক্টোবরে মোট জিএসটি আদায়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৮৭ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা। যা গত বছরের অক্টোবরের নিরিখে ৮.৯ শতাংশ বেশি। ২০২৩ সালের অক্টোবরে জিএসটিতে মোট কর আদায়ের পরিমাণ ছিল ১.৭৪ লক্ষ কোটি টাকা। এ বছরের এপ্রিলে এখনও পর্যন্ত সরকারি কোষাগারে পণ্য ও পরিষেবা কর বাবদ সবচেয়ে বেশি টাকা জমা পড়েছে। যার পরিমাণ ২.১০ লক্ষ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
চলতি বছরের অক্টোবরে ঘরোয়া লেনদেন থেকে জিএসটি আদায়ের পরিমাণ ১০.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখান থেকে কর আদায় হয়েছে ১.৪২ লক্ষ কোটি টাকা। এ ছাড়া আমদানি পণ্যের উপর কর বাবদ পাওয়া রাজস্বের অঙ্ক ৪ শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। সেখান থেকে ৪৬ হাজার ৯৬ কোটি টাকা কোষাগারে জমা পড়েছে।
অক্টোবরে প্রাপ্ত জিএসটির থেকে ১৯ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা রিফান্ড দেবে কেন্দ্র। সেই বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে। গত বছরের অক্টোবরের তুলনায় এই রিফান্ডের পরিমাণ ১৮.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy