মহার্ঘ ভাতা (ডিয়ারনেস অ্যালাউন্স বা ডিএ) বৃদ্ধির জেরে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেড়েছে গ্র্যাচুইটির অঙ্ক। ২০ লক্ষের বদলে এ বার থেকে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গ্র্যাচুইটি পাবেন তাঁরা। এই প্রাপ্ত অর্থের উপর কত টাকা দিতে হবে আয়কর? বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের ক্ষেত্রেই বা রয়েছে কী নিয়ম?
নিয়ম অনুযায়ী, মৃত্যুকালীন বা অবসরের সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্ত গ্র্যাচুইটি পুরোপুরি করমুক্ত। এর বর্ধিত পরিমাণকেও আয়করের আওতার বাইরে রেখেছে কেন্দ্র। ১৯৬১ সালের আয়কর আইনের ১০(১০)(ক) ধারা অনুযায়ী এই সুযোগ পাবেন তাঁরা।
বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের গ্র্যাচুইটি পাওয়ার বিষয়টি ১৯৭২ সালের ‘দ্য পেমেন্ট অফ গ্র্যাচুইটি’ আইনের আওতাভুক্ত। এই ধরনের কর্মীদের সকলেই যে গ্র্যাচুইটি পাবেন, এমনটা নয়। গ্র্যাচুইটি আইনের আওতার বাইরেও কিছু বেসরকারি কর্মী রয়েছেন। বর্তমানে বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গ্র্যাচুইটির ক্ষেত্রে আয়করে ছাড় পেয়ে থাকেন। সরকারি কর্মচারী এবং বেসরকারি সংস্থার কর্মীর গ্র্যাচুইটিতে কর ছাড়ের হিসাবের ক্ষেত্রে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে।
বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা গ্র্যাচুইটি পেমেন্ট আইন অনুযায়ী এই খাতে টাকা পেয়ে থাকেন। তাঁদের কর ছাড়ের বিষয়টি আয়কর আইনের ১০(১০)(খ) ধারা অনুযায়ী ঠিক করতে হবে। গ্র্যাচুইটিতে প্রাপ্ত অর্থ ২০ লক্ষ টাকার বেশি হলে আয়করের আওতায় পড়বেন তিনি।
আরও পড়ুন:
গত বছরের (পড়ুন ২০২৪) ১ জানুয়ারি ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি করে কেন্দ্র। ৩০ মে জারি হয় এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি। সেখানে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের অবসরকালীন গ্র্যাচুইটি এবং অবসরকালীন গ্র্যাচুইটির ঊর্ধ্বসীমা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে সরকার। ফলে ২০ লক্ষের বদলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের গ্র্যাচুইটির পরিমাণ ২৫ লক্ষে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।