নবান্ন। ফাইল চিত্র।
চলতি বছরের গোড়া থেকে জেলায় জেলার রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার শাখাগুলি বকেয়া আদায়ে অভিযান শুরু করেছিল। দীর্ঘ দিন টাকা বাকি থাকলে বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দেওয়ার কাজও চলছিল। বিভিন্ন জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে বকেয়া বিল আদায়ে আপাতত জোর না দিতে বণ্টন সংস্থাকে বার্তা পাঠিয়েছে নবান্ন। তবে লিখিত নয়, মৌখিক বার্তাই দেওয়া হয়েছে বলে খবর। বণ্টন সংস্থা বা বিদ্যুৎ দফতরের তরফে অবশ্য এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, দীর্ঘ দিন মাসুল বৃদ্ধি না হলেও পরিষেবা বিস্তৃত হওয়ায় বণ্টন সংস্থার উপরে আর্থিক বোঝা বেড়েছে। তাই চলতি অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার আগে মাস দুয়েক ধরে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ে জোর দেওয়া হয়। জেলায় সংস্থার দফতরগুলি থেকে অভিযানে বেরোচ্ছিলেন কর্মীরা। গৃহস্থ, বাণিজ্যিক ও শিল্প-গ্রাহক মিলিয়ে প্রায় শ’তিনেক কোটি টাকার বিল বকেয়া রয়েছে বলে বণ্টন সংস্থার দাবি। অভিযানে প্রায় অর্ধেক আদায় করতে পেরেছেন কর্মীরা। কিন্তু নবান্ন থেকে জেলার দফতরগুলিকে আপাতত ‘ধীরে চলো’ নীতি নিতে বলায় বাকি বকেয়া আদায় নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে জেলাগুলির দফতরেই।
নানা জেলা সূত্রে অভিযোগ, অধিকাংশ জায়গায় বিদ্যুৎ চুরি করে সাবমার্সিবল পাম্প চালানো হয়। যে সব ব্লকে ওই পাম্প বেশি চলে, লোকসান বেশি হয় সেখানেই। তাই বিদ্যুৎ দফতর ঠিক করে, রাতে অভিযান চালানো হবে। রাজ্যে ৬৭ হাজারের মতো সাবমার্সিবল সংযোগ রয়েছে। প্রতিটি আঞ্চলিক দফতরের নির্দেশে বিভাগীয় ম্যানেজার পরিদর্শনের দল তৈরি করেন। নবান্নের এই সিদ্ধান্তে ওই নজরদারি ধাক্কা খাবে বলে মনে করা হচ্ছে। সংস্থার জেলার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘সংযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে না বলে কোনও গ্রাহক বিল না দিলে আদতে তাঁরই লোকসান হবে। পরে বিল দিলে প্রচুর টাকার সারচার্জ পড়বে, এটা মাথায় রাখতে হবে।’’ হুকিংয়ের ক্ষেত্রেও নজরদারি চালানো হবে কি না, সেই প্রশ্ন রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy