প্রতীকী ছবি।
কৃষকদের আন্দোলনে দেশ যখন উত্তাল, তখন আমজনতার দুর্ভোগের পারদ আরও চড়িয়ে বহাল তেলের দরের লাগামহীন দৌড়। আজ কলকাতায় লিটার পিছু ৮০ টাকা পেরিয়ে গেল ডিজেল। পেট্রল পৌঁছে গেল ৮৮ টাকার কাছে।
দু’তিন দিন করে স্থির রেখে ফের টানা কয়েক দিন একলাফে অনেকখানি দাম বাড়িয়ে দেওয়ার কৌশল যেন স্পষ্ট জ্বালানির দামে। আর সেই ছক মিলিয়েই আজ কলকাতায় আইওসির পাম্পে পেট্রলের দাম বাড়ল লিটার প্রতি ২৪ পয়সা। ডিজেল ২৫ পয়সা। ফলে পেট্রল কিনতে ক্রেতাকে খরচ করতে হবে লিটারে ৮৭.৬৯ টাকা এবং ডিজেল কিনলে ৮০.০৮ টাকা।
তেলের দামে রাশ টানতে নাগাড়ে কেন্দ্রের কাছে উৎপাদন শুল্ক কমানোর দাবি করা হলেও, এখনও তাতে কান দেয়নি তারা। বরং সরকারের নেতা-মন্ত্রীদের দাবি, বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দর এতটাই চড়া যে দাম বাড়ানো ছাড়া পথ নেই রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির সামনে। সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, তা হলে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল সস্তা থাকার সময় সরকার উৎপাদন শুল্ক বাড়িয়ে রাজকোষ ভরেছে কেন? আর এখন সেই শুল্ক কমিয়ে কেন আমজনতার পাশে দাঁড়াচ্ছে না? কারণ, ইতিমধ্যেই ট্যাক্সিতে উঠলে বেশি টাকা দিতে হচ্ছে। তেলের দাম নিয়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে সরব ট্রাক-লরির মালিকেরা। সকলেরই আশঙ্কা, এর ফলে যাতায়াতের খরচ তো বাড়ছেই। পণ্য পরিবহণের খরচ বাড়ায় জিনিসপত্রের দামও চড়তে পারে। যা মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়াবে। চড়া মূল্যবৃদ্ধি অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর রাস্তাও বন্ধ করতে পারে। মঙ্গলবার দিল্লি ও মুম্বইতে লিটার পিছু পেট্রলের দর ছিল যথাক্রমে ৮৬.০৫ ও ৯২.৬২ টাকা। ডিজেল ছিল যথাক্রমে ৭৬.২৩ ও ৮৩.০৩ টাকা।
কংগ্রেসের প্রশ্ন, ইউপিএ আমলে তেলের দর বাড়লেই বিজেপি হইচই শুরু করে দিত, এখন কেন্দ্রে ক্ষমতায় থেকে তাঁরা চুপ কেন? সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে, বাজেটে অর্থের সংস্থান বাড়াতে সরকারের অন্যতম হাতিয়ার এই শুল্ক। ফলে আমজনতার রাতের ঘুম উড়লেও, এখনই তা কমার সম্ভাবনা কম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy