কোটাক মহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা ও নন-এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর উদয় কোটাক।
হাতে গোনা কয়েকটি সংস্থা কিংবা শিল্প গোষ্ঠী নয়, দেশের সামগ্রিক শিল্প ক্ষেত্রের বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করলেন কোটাক মহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা ও নন-এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর উদয় কোটাক। সম্প্রতি দীপাবলি উপলক্ষ্যে লগ্নিকারীদের উদ্দেশে এক ভিডিয়ো-বার্তায় তাঁর মন্তব্য, সামগ্রিক ভাবে জাতীয় অর্থনীতি শক্তপোক্ত অবস্থায় রয়েছে। তবে পৃথক ভাবে সংস্থাগুলির দিকে তাকালে চোখে পড়ছে বেশ কিছু সমস্যা। তা কাটিয়ে তাদের বেড়ে উঠতে হবে।
কোটাকের এই বক্তব্যের প্রসঙ্গে অনেকে মনে করাচ্ছেন, কেন্দ্রের প্রাক্তন মুখ্য আর্থিক পরামর্শদাতা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যন এবং রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্যের কথা। তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ভারতের কর্পোরেট ক্ষেত্রে হাতে গোনা কয়েকটি সংস্থা প্রভাব বিস্তার করে রয়েছে। অন্তত ৪০টি ক্ষেত্রে একচেটিয়া প্রভাব রয়েছে তাদের। একই যুক্তিতে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছে বিরোধীরাও। এ ব্যাপারে কেন্দ্রের নীতিকে দায়ী করেছে তারা। গতকাল কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ আদানি গোষ্ঠীর নাম করে ফের একই অভিযোগ করেছেন। বলেছেন, বাড়তে থাকা একাধিপত্যে নড়বড়ে হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। বাড়ছে মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারত্ব।
ভিডিয়ো-বার্তায় কোটাকের বক্তব্য, ‘‘ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি হাতে গোনা কয়েকটি বৃহৎ সংস্থা এবং গোষ্ঠীর উপরে নির্ভর করতে পারে না। সমস্ত ধরনের সংস্থার শ্রীবৃদ্ধি হলেই তা সম্ভব হবে। সহস্র ফুল বিকশিত হোক। এই প্রবাদ যাতে বাস্তবেও সত্যি হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে মূলধনী বাজারকে। সমস্ত সংস্থাকে সাহায্য করতে হবে তাদের।’’ পাশাপাশি, সরকারি সুরক্ষার মুখাপেক্ষী হয়ে থাকার বদলে প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হাওয়ার জন্য দেশীয় সংস্থাগুলিকে পরামর্শ দিয়েছেন কোটাক।
ব্যাঙ্ক কর্তা আরও জানান, গত এক বছর শেয়ার বাজার এবং আর্থিক বাজারের খুব ভাল কেটেছে। তবে লগ্নিকারীদের বাজারের উত্থান-পতনের জন্যও তৈরি থাকতে হবে। ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনিশ্চিত। তিনি সে দিকে ‘সতর্ক’ নজর রাখছেন। একই সঙ্গে তিনি ভবিষ্যতের ব্যাপারে ‘আশাবাদী’। ভারতকেও মূল্যবৃদ্ধি, চলতি খাতের ঘাটতি-সহ যাবতীয় আর্থিক মাপকাঠির দিকে খেয়াল নজর হবে। যদিও আপাতত সেগুলি ভাল অবস্থায় রয়েছে।
সং
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy