টাটা গোষ্ঠীর বোর্ডরুম যুদ্ধে এ বার এলআইসি, বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ও আর্থিক সংস্থাকে নজর রাখতে বলল অর্থ মন্ত্রক। টাটাদের সংস্থায় সাধারণ মানুষের লগ্নি সুরক্ষিত রাখতেই এই নির্দেশ দিয়েছে তারা। অন্য দিকে সাইরাস মিস্ত্রির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ থাকার কারণে তাঁকে ‘বরখাস্ত’ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গোষ্ঠী থেকে সরে যাওয়া অন্যতম কর্তা নির্মাল্য কুমার।
রবিবার মন্ত্রক সূত্রের খবর, টাটা-মিস্ত্রি সংঘাত কোন দিকে মোড় নেয়, তা নিয়ে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে সংস্থাগুলিকে। কারণ, সাধারণ মানুষের জমা টাকার বেশ কিছু টাটা সন্সের নানা সংস্থায় ঢেলেছে এলআইসি ও ব্যাঙ্কগুলি। মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘‘জনসাধারণকে যাতে কোনও ঝুঁকি নিতে না-হয়, সেটা দেখা এই সব সংস্থার কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে।’’
প্রসঙ্গত, টাটা গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থায় ছড়িয়ে রয়েছে এলআইসি-র ৩৭,৫০০ কোটি টাকার লগ্নি, যা আদতে জন -সাধারণের টাকা। এলআইসি-র হাতে রয়েছে টিসিএসের ৩.২%, টাটা স্টিলের ১৩.৬%, টাটা পাওয়ারের ১৩.১%, টাটা মোটরসের ৭.১৩%, ইন্ডিয়ান হোটেলসের ৮.৮%, টাটা গ্লোবাল বেভারেজেসের ৯.৮% শেয়ার।
এ দিকে, মিস্ত্রির পাশে থেকে কাজ করার সুবাদেই তাঁকে গোষ্ঠী থেকে সরতে হল বলে ‘ব্লগ’-এ খোলাখুলি লিখেছেন নির্মাল্য কুমার। তিনি ছিলেন বাতিল হওয়া এগ্জিকিউটিভ কাউন্সিল বা কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ও টাটা গোষ্ঠীর লগ্নি কৌশল বা স্ট্র্যাটেজি এগ্জিকিউটিভ। টাটা কেমিক্যালসের নন-এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবেও ওই সংস্থার পরিচালন পর্ষদ থেকে ইস্তফা দেন কুমার। তাঁর ভাষায়, ‘‘আমাকে স্রেফ বরখাস্ত করা হয়েছে। আর, তার কারণ কাজে গাফিলতি নয়। গত মূল্যায়নেই আমাকে কাজের দারুন স্বীকৃতি দেওয়া হয়। আমাকে সরানোর একটিই কারণ— সাইরাসের খুব কাছে থেকে ও তাঁর সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করা।’’ তাঁর দাবি, তাঁকে বরখাস্ত করার পিছনে কারণ দেখায়নি টাটা গোষ্ঠী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy