প্রতীকী চিত্র।
শিল্পের হাতে যাতে কম খরচে মূলধন পৌঁছয়, তার জন্য ক্রমাগত সুদ কমিয়ে চলেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তাদের আরও বেশি করে ঋণ দেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে বলছে কেন্দ্রও। কিন্তু শিল্প বা খুচরো ঋণের চাহিদা পূরণ হচ্ছে কি? এই সংশয় দূর করতে বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রক রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে জানাল, লকডাউনের মধ্যেও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি মার্চ ও এপ্রিলে ৫.৬৬ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করেছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের দফতরের দাবি, ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্প থেকে খুচরো ব্যবসা, কৃষি ক্ষেত্র থেকে কর্পোরেট সংস্থা, সকলেই রয়েছে ঋণ নেওয়ার তালিকায়। দেশের অর্থনীতি এখন ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য তৈরি। কিন্তু অনেকের বক্তব্য, অর্থ মন্ত্রকের পরিসংখ্যানের পাশাপাশি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান দেখলে আদতে সংশয় বাড়ছে।
অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, জরুরি প্রয়োজনে ও ব্যবসা চালানোর জন্য নগদ পুঁজির প্রয়োজনে ছোট শিল্পের ঋণের আর্জিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ২০ মার্চের পর থেকে ২৭ লক্ষ আর্জি জমা পড়েছে। কিন্তু পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে, এর মধ্যে মাত্র ২.৩৭ লক্ষ আবেদনে ২৬,৫০০ কোটি টাকা মঞ্জুর হয়েছে। অথচ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হিসেব, শীর্ষ ব্যাঙ্কের কাছে ৮.৫৩ লক্ষ কোটি টাকা জমা রেখে দিয়েছে ব্যাঙ্কগুলি।
সাধারণত কোনও ব্যাঙ্কের কাছে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি টাকা থাকলে তারা তা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে জমা রাখে। অনেকের বক্তব্য, এ ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলি বিপুল পরিমাণ অর্থ শীর্ষ ব্যাঙ্কের কাছে জমা রাখায় স্পষ্ট, যথেষ্ট ঋণ বিলি হচ্ছে না। বরং রিভার্স রেপো রেটে সুদ পাচ্ছে ব্যাঙ্কগুলি।
অর্থ মন্ত্রকের যুক্তি, মার্চ-এপ্রিলে ৪১.৮১ লক্ষ অ্যাকাউন্টে ৫.৬৬ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর হয়েছে। তবে এর কতখানি পুরনো ঋণ শোধ করতে বা ব্যবসা জিইয়ে রাখতে নেওয়া হচ্ছে কি না, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: তেলের করে শীর্ষে ভারত, সরব রাহুল
লকডাউনের জোর ধাক্কা নতুন চাকরির বাজারেও
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy