চলতি বছরের বাজেটে ‘ট্যাক্স ডিডাকটেড অ্যাট সোর্স’ বা টিডিএসের নিয়ম সংশোধনের কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ফলে করদাতা, প্রবীণ নাগরিক এবং সংস্থার ক্ষেত্রে বদলাচ্ছে টিডিএসের নিয়ম। এর জেরে কমবে কোনও ব্যক্তির আয়ের থেকে কাটা করের পরিমাণ। পাশাপাশি, সংস্থার পক্ষে টিডিএসের সম্মতির বিষয়টি অনেকটাই সহজ হল বলে মনে করা হচ্ছে।
বাজেটে টিডিএসের প্রস্তাবিত সীমা ১০ হাজার টাকা বৃদ্ধি করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে সেটি হয়েছে দ্বিগুণ। নতুন নিয়মে স্থায়ী আমানত বা ফিক্সড ডিপোজ়িট (এফডি), রেকারিং ডিপোজ়িট (আরডি) এবং এর মতো অন্যান্য সঞ্চয় থেকে একটি আর্থিক বছরে আয়ের পরিমাণ ৫০ হাজার টাকার বেশি হলে তবেই কর কাটা হবে বলে জানিয়েছেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী নির্মলা।
টিডিএসের নিয়ম বদলের ক্ষেত্রে একাধিক কারণের কথা বলেছে কেন্দ্র। এর মূল উদ্দেশ্যই হল মধ্যবিত্ত এবং প্রবীণ নাগরিকদের তহবিল বৃদ্ধি। প্রবীণ নাগরিকেরা কেবলমাত্র তখনই কর দেবেন, যখন একটি আর্থিক বছরে তাঁর সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট, এফডি, আরডি এবং এই ধরনের অন্যান্য সঞ্চয় থেকে সুদ বাবদ আয় এক লক্ষ টাকা ছাপিয়ে যাবে। বর্তমানে সাধারণ জনগণের ক্ষেত্রে এই সীমা ৪০ হাজার টাকা এবং প্রবীণদের ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা রয়েছে। এ বছরের ১ এপ্রিল থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রক।
ঝুঁকিবিহীন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমজনতার একটা বড় অংশ এখনও স্থায়ী আমানত বা ফিক্সড ডিপোজ়িটে লগ্নি করতে ভালবাসেন। এতে একটি নির্দিষ্টে সময়ের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ সুদ দিয়ে থাকে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। গ্রাহক ইচ্ছা করলে সুদ মাসিক, ত্রৈমাসিক, অর্ধ-বার্ষিক এবং বার্ষিক ভাবে পেতে পারেন। এই সুদ থেকে আয়ের উপর রয়েছে টিডিএস, যা প্রকৃতপক্ষে একটি সরকারি প্রক্রিয়া। এ ছাড়া কোন ব্যক্তি অপর কাউকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করলে টিডিএস বাবদ কর জমা দিতে বাধ্য থাকেন। এটি কেন্দ্রীয় সরকারি অ্যাকাউন্টে জমা করতে হয়।