প্রতীকী ছবি।
বণিকসভা ফিকি-র আর্থিক সমীক্ষা ঠিক হলে চলতি আর্থিক বছরের শেষেই গড় জাতীয় উৎপাদন ২০১৯-২০ সালের তুলনায় কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবে।
ফিকির এই সমীক্ষা বলছে, চলতি আর্থিক বছরের শেষে দেশের জাতীয় উৎপাদনের বৃদ্ধির হার দাঁড়াবে অন্তত ৮.৫ শতাংশ। তবে বৃদ্ধির হারের ঊর্ধ্বসীমা ৯.৭ শতাংশই দেখছে সমীক্ষাটি।
বিভিন্ন হিসাব বলছে চলতি আর্থিক বছরে ২০১৯-২০ সালের গড় জাতীয় উৎপাদনকে ছাপিয়ে যেতে হলে, অন্তত ৮ শতাংশ হারে অর্থনীতির বৃদ্ধি হতে হবে। কোভিডের কারণে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের তুলনায় ২০২০-২১ অর্থবর্ষ দেশের অর্থনীতির সঙ্কোচন হয়েছিল ৭.৩ শতাংশ। উল্লেখ্য, চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার ভাল হলেও গত বছরের একই সময়ে জাতীয় উৎপাদনের সঙ্কোচনের কারণে যে ক্ষতি হয়েছিল তা পূরণ করতে আরও ৩ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকার উৎপাদনের প্রয়োজন ছিল। তাই ফিকির সমীক্ষায় আর্থিক বৃদ্ধির এই পূর্বাভাস কিছুটা হলেও স্বস্তির বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
আর্থিক ক্ষেত্র ধরে বৃদ্ধির হার নিয়ে মন্তব্য করে সমীক্ষাটির আশা কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বৃদ্ধি ৩ শতাংশের উপরেই থাকবে। অতিমারির অতি খারাপ সময়েও কৃষিই দেশের অর্থনীতিকে যাবতীয় শক্তি জুগিয়েছিল। এ বারও, বিশেষ করে ভাল বর্ষা হবে এই আশাতেই সমীক্ষাটি কৃষি নিয়ে আশাবাদী।
পাশাপাশি, শিল্প ক্ষেত্রে ১১.৩ শতাংশ বৃদ্ধির আশা করছে সমীক্ষাটি। দ্বিতীয় ঢেউ এই ভাবে না ডোবালে শিল্পের ঘুরে দাঁড়ানো আরও দ্রুত হত বলে মনে করছে এই সমীক্ষা। তবে পরিষেবার ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হারকে ৯ শতাংশের আশেপাশেই দেখছে সমীক্ষাটি। রফতানি বাড়বে ২৩.৫ শতাংশ হারে আর আমদানির ক্ষেত্রে এই হার দাঁড়াবে ৩২ শতাংশে বলে অনুমান এই সমীক্ষায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy