—প্রতীকী চিত্র।
চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আর্থিক বৃদ্ধির হার গত বছরের ওই সময়ের চেয়ে ৮০-১০০ বেসিস পয়েন্ট কমবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। অনিয়মিত বর্ষা, বাণিজ্যে ধাক্কা, আর্থিক পরিষেবা ও পরিবহণের মতো ক্ষেত্রে শ্লথ গতিই যার জন্য দায়ী হতে পারে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। পাশাপাশি, সামগ্রিক ভাবে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বৃদ্ধি ৬%-৬.৩% হবে বলে ধারণা তাঁদের। সেটাও রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ৬.৫% পূর্বাভাসের চেয়ে কম।
আগামী ৩০ নভেম্বর এ বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের বৃদ্ধির হার জানা যাবে। গত এপ্রিল-জুনে জিডিপি বেড়েছিল ৭.৮%। এ বার সেই হারই বেশ কিছুটা নামবে বলে জানিয়েছেন দেশীয় মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রা এবং ব্রিটেনের ব্রোকারেজ সংস্থা বার্কলেজ়ের অর্থনীতিবিদেরা।
তবে অর্থনীতি নিয়ে কিছু আশাও প্রকাশ করেছে দুই সংস্থা। বার্কলেজ়ের তরফে রাহুল বাজোরিয়ার মতে, আর্থিক পরিষেবা, হোটেল, পরিবহণ ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অগ্রগতি দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ধাক্কা খাবে ঠিকই। কিন্তু দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি, খনি ও বিদ্যুতের মতো ক্ষেত্র এবং নির্মাণ শিল্পের কর্মকাণ্ডে গতি তা সামলে নেবে। বৃদ্ধিতে ইন্ধন জোগাবে কেন্দ্রের লগ্নি বৃদ্ধি, পরিষেবা ক্ষেত্র ভাল করা, উৎপাদন শিল্পে উন্নতি এবং ঋণের চাহিদা বাড়া।
ইক্রার মুখ্য অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ারও বলছেন, গত বছরে বৃদ্ধির ভিত তুলনায় বেশি থাকা এবং এ বছর অনিয়মিত বর্ষা, মূল্যবৃদ্ধি ও ভোটের আগে সরকারের খরচে রাশ টানা এবং বিদেশে চাহিদা কমার জেরে রফতানি ধাক্কা খাওয়ার প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে। বইতে হবে মূল্যবৃদ্ধির হার কমাতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের সুদ বাড়ানোর জেরও। এই সব কারণে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি বাড়বে তুলনায় কম হারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy