কখন ইপিএফের টাকা তুলতে পারবেন? প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
চাকরিজীবীদের জন্য এমপ্লয়িজ় প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফ) বা কর্মচারী ভবিষ্যনিধি বরাবরই স্বস্তির জায়গা। ইপিএফ বিভিন্ন পরিস্থিতিতে অসময়ের বন্ধু। ইপিএফ থেকে যেমন ঋণ নেওয়া যায় তেমন প্রয়োজনে টাকা তোলার কথা ভাবতেই পারেন।
বিবাহ: নিজের বা নিকটকম আত্মীয়ের বিয়ের প্রয়োজনে ভবিষ্যনিধির টাকা তোলা যায়। এই ক্ষেত্রে সাত বছর টাকা জমানোর পর একাউন্টে থাকা টাকার ৫০ শতাংশ তুলে নেওয়া যায়।
চিকিৎসা: চিকিৎসার প্রয়োজনে কোনও কর্মচারী ইপিএফের টাকা তুলতে পারেন। অ্যাকাউন্ট হোল্ডার নিজের চিকিৎসা ছাড়াও তাঁর নিকট আত্মীয় অর্থাৎ বাবা-মা, স্ত্রী, সন্তানের চিকিৎসার জন্য টাকা খরচ করতে পারেন ইপিএফ একাউন্ট থেকে। এই ক্ষেত্রে নিজের বেতনের ছয় গুণ সুদ বা নিজের অবদানের সমান পরিমাণ সুদ, যেটির অঙ্ক সবচেয়ে কম হবে সেই পরিমাণ টাকা তুলতে পারবেন।
সন্তানের শিক্ষা: সন্তানের শিক্ষার প্রয়োজনে এক জন ইপিএফ গ্রাহক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারেন। অ্যাকাউন্ট খোলার সাত বছর পরে অ্যাকাউন্টে থাকা টাকার ৫০ শতাংশ শিক্ষার প্রয়োজনে তুলে নেওয়া যায়।
গৃহঋণ পরিশোধ: বাড়ি বা ফ্ল্যাটের ঋণ শোধ করতে জমানো টাকা তুলে নেওয়া যায়। ডিএ সমেত ৩৬ মাসের বেতন অথবা তহবিলে থাকা সম্পূর্ণ টাকা গৃহঋণ পরিশোধের জন্য তুলে নেওয়া যায়। তবে, এই সুবিধা পাওয়া যাবে অ্যাকাউন্ট খোলার ১০ বছর পরে। এ ক্ষেত্রে যে সংস্থার থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে, সরাসরি সেই সংস্থাকে টাকা দেওয়া হবে।
বাড়ি তৈরি বা ফ্ল্যাট বা বাড়ি কেনা: টানা পাঁচ বছর চাকরি করার পরে বাড়ি তৈরি করা বা ফ্ল্যাট, বাড়ি এবং জমি কেনার জন্য ভবিষ্যনিধির টাকা তোলা যায়। জমি কেনার জন্য ডিএ সমেত বেতনের ২৪ গুণ টাকা তোলা যায়। বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনা অথবা বাড়ি বানানোর প্রয়োজনে ডিএ সমেত বেতনের ৩৬ গুণ টাকা খরচ করা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy